ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বকেয়া ২০ কোটি টাকা না পাওয়ায় বিপাকে সরবরাহকারী

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৩১ জুলাই ২০১৭

   বকেয়া ২০ কোটি টাকা  না পাওয়ায় বিপাকে সরবরাহকারী

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ গত অর্থবছরের বকেয়া পাওনা প্রায় ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় সরবরাহকারীরা বেকায়দায় পড়েছে। রেলকে পণ্য ও তেল সরবরাহের চাহিদা মিটিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখলেও সরবরাহকারীদের অর্থ পরিশোধ না করে রেল কর্তৃপক্ষ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের হিসাবের খাতা বন্ধ করে দিয়েছে গত ১৯ জুন। এদিকে উপ-অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব অধিকর্তা (কারখানা) এর দফতরে সরবরাহকারীদের বিল পরিশাধে বৈষম্য সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অপরদিকে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের একমাস পার হলেও সরবরাহকারীদের অর্থ পরিশোধ করছে না কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, গত অর্থবছরে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে প্রধান অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব অধিকর্তা বরাবর বিল জমা দিলেও বকেয়ার খাতায় থেকে গেল প্রায় ২০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৪র্থ দফায় সরবরাহকারীদের প্রদেয় ২০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ না দেয়ায় চলতি অর্থবছরে গচ্চা দিতে হবে এমন অভিযোগ সরবরাহকারীদের। আরও অভিযোগ রয়েছে, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলীর (সিএমই) অনুরোধে গত ১৯ জুন পর্যন্ত বিল দেখিয়ে কারখানার প্রায় ১ কোটি টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ গত ২২ জুন পর্যন্ত ডিএফএ কারখানার আওতায় থাকা ডিজেল শপের সরবরাহকারীদের প্রায় ৮০ লাখ টাকার বিল পরিশোধ না করে সরবরাহকারীদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় প্রত্যেকটি অর্থ বিভাগকে প্রধান অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব অধিকর্তা (এফএ্যান্ডসিএও) সরবরাহকারীদের বিল পরিশোধে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সমন্বয়ের সুযোগ দিলেও উপ-অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব অধিকর্তা (কারখানা)-এর আওতায় থাকা ডিজেল শপের অর্থ পরিশোধে অতিরিক্ত খরচে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এমনকি এফএএ্যান্ডসিএও দফতর থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে যেন বাজেটের বাহিরে কোন অর্থ খরচ করা না হয়। এতে সরবরাহকারীদের মাঝে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে। এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় বেকায়দায় পড়েছে সরবরাহকারীরা। পলোগ্রাউন্ডস্থ টিএ ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, সরবরাহকারীদের গত অর্থবছরের বকেয়া পাওনার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (স্টোর) এর দফতরে। এর মধ্যে বিভিন্ন জ্বালানি তেল কোম্পানির ১২ কোটি টাকা ও বাকি প্রায় ৮ কোটি টাকা স্টোর কেন্দ্রিক সরবরাহকারীদের।
×