বেঙ্গলে সেমন্তী মঞ্জরীর গানে মুগ্ধ শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজের নতুন এ্যালবাম প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের গান গেয়ে উপস্থিত শ্রোতা দর্শকদের মুগ্ধ করছেন প্রতিভাময়ী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সেমন্তী মঞ্জরী। শনিসন্ধ্যায় ধানম-ির ছায়ানট মিলনায়তনে সেমন্তী মঞ্জরীর কণ্ঠে ধারণ করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সংকলন ‘দেখো রে চিত্তকমলে’ শীর্ষক এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিনি। এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন সঙ্গীতজ্ঞ, শিক্ষক ও গবেষক ড. সন্জীদা খাতুন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী মিতা হক। মোড়ক উন্মোচন পর্ব শেষে শিল্পী সেমন্তী মঞ্জরী, পর পর পূজা পর্বের ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ ও ‘আমি তারেই খুঁজে বেড়াই’ গান দুটি পরিবেশন করেন। শিল্পীর গাওয়া তৃতীয় গান ‘তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়’ গানটি ছিল বিচিত্র অঙ্গের। এরপর গেয়ে শোনান প্রেম পর্বের ‘বাহির পথে বিবাগী হিয়া’ গানখানি। শিল্পী সেমন্তীর গাওয়া পরের গানগুলো ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি পর্যায়ের বর্ষার গান ‘ওরে ঝড় নেমে আয়’, ‘ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে’, রবীন্দ্রনাথের প্রেম পর্যায়ের বর্ষা আবহের গান ‘সখী, আঁধারে একেলা ঘরে’, ‘এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে’, ‘শ্যামল ছায়া নাইবা গেলে’ এবং ‘যায় দিন, শ্রাবণদিন যায়’ গানগুলো। শিল্পীর সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় এনামুল হক ওমর, এসরাজে অসিত বিশ্বাস, কী-বোর্ডে রবীনস্। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেমন্তী মঞ্জরী বয়সে নবীন হলেও এই প্রজন্মের একজন রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী। বাবা সোহরাব উদ্দীন ও মা নাসিমা খান দুজনই সঙ্গীতশিল্পী। ৪ বছর বয়সে সঙ্গীতের প্রথম শিক্ষা বাবার কাছে। বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী মিতা হক তারই পরিবারের সদস্য। ছোটবেলা থেকেই তাঁর কাছে শেখার সুযোগ হয় সেমন্তীর। ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনে সাফল্যের সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীতের কোর্স সমাপ্ত করেন। ছায়ানটে শিক্ষার্থী অবস্থায় বিখ্যাত গুণীজনদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ঘটেছে তার। এর মধ্যে ওয়াহিদুল হক এবং সন্জীদা খাতুন অন্যতম। আঠারো বছর বয়সে সেমন্তী জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। বিভিন্ন মঞ্চ ও টেলিভিশনে গান পরিবেশনের সুযোগ পেয়েছেন। সেমন্তী ছায়ানটে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। ২০১৪ সালে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ শিরোনামে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে সেমন্তীর প্রথম একক এ্যালবাম প্রকাশ হয়। বর্তমানে তিনি লন্ডনে কালচারাল স্টাডিজ এ মাস্টার্স করছেন।