ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানির নাইটক্লাবে গুলি

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৩১ জুলাই ২০১৭

জার্মানির নাইটক্লাবে গুলি

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় কনস্ট্যানস শহরের একটি নাইট ক্লাবে গোলাগুলির ঘটনায় হামলাকারীসহ দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ম্যাক্স-স্টরমায়ার সড়কের গ্রে নাইট ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির। পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি ওই নাইট ক্লাবে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় পিস্তল থেকে গুলি শুরু করলে ভেতরে থাকা অতিথিরা লুকিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এ সময় নাইট ক্লাবের এক ডোরম্যান ওই হামলাকারীকে ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয় ওই বন্দুকধারী। সে সময় এক পুলিশ সদস্যও আহত হন। সুইজারল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া ওই জার্মান শহরে স্পেশাল কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশে হেলিকপ্টারও চক্কর দিতে দেখা গেছে। তবে হামলাকারীর পরিচয় বা তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। এদিকে, নিহত হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে জার্মান গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। কোন কোন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মারা যাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি আততায়ী নন, তিনি ক্লাবের একজন অতিথি। আততায়ীকে ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন ক্লাবের দারোয়ান। ক্লাবে আসা অনেক অতিথি সে সময় টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়েন। দৌড়ে বেরিয়ে যান অনেকে। কনস্ট্যানস শহরের ম্যাক্স-স্টরমায়ার সড়কের গ্রে ক্লাব নামের নৈশক্লাবটিতে গোলাগুলির ঘটনার সময় সেখানে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয় ও উপস্থিত সবাই ক্লাব থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। পরে পুলিশ সদস্যদের গুলিতে বন্দুকধারী আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী বরাতে জানা গেছে, একটি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল দিয়ে হামলা করেছিল ওই বন্দুকধারী। নৈশক্লাবে ঢোকার মুখে একজন নিরাপত্তারক্ষী তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখন তার দিকে গুলি চালায় ওই বন্দুকধারী। হামলাকারীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়। প্রাথমিক খবরে জানা গেছে, বন্দুকধারীর বয়স ৩৪ বছর এবং সে ইরাকের নাগরিক। সে বহুদিন ধরেই জার্মানিতে বসবাস করছে। স্থানীয় পুলিশ ও আইন কর্মকর্তারা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বিশেষ কমান্ডো বাহিনী ও পুলিশের হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হামলাকারীর সঠিক পরিচয় জানানো হয়নি। এছাড়া হামলার কারণ সম্পর্কেও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, ওই বন্দুকধারী নাইট ক্লাবটিতে ঢুকতে চাইলে তাকে বাধা দেন এক নিরাপত্তারক্ষী। এ সময় হামলাকারী নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এতে ওই নিরাপত্তারক্ষী গুলিবিদ্ধ হন। মারা যান একজন। তবে নিহত ব্যক্তি ওই নিরাপত্তারক্ষীই কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে তৎপর পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীর গুলিবিনিময় হয়। এতে বন্দুকধারীও নিহত হয়। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ আরও চারজন আহত হন। চারজনেরই অবস্থা গুরুতর। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভোর হওয়ায় নাইট ক্লাবে অতিথি কম ছিলেন। যারা ছিলেন তারা লুকিয়ে-পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছেন। প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার পর ঘটনাস্থলে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী ও পুলিশ হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
×