ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এনএইচডি প্রকল্পের ২য় ধাপের তথ্য সংগ্রহ শুরু ৬ আগস্ট

প্রকাশিত: ০২:৪৯, ৩০ জুলাই ২০১৭

এনএইচডি প্রকল্পের ২য় ধাপের তথ্য সংগ্রহ শুরু ৬ আগস্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ (এনএইচডি) প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আগামী ৬ আগস্ট শুরু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে এবার ২০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২৫ জেলায় সকল খানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য জেলা সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বিবিএস। রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘এনএইচডি প্রকল্পের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিসংখ্যান কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কেএম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বিবিএসের মহাপরিচালক মোঃ আমির হোসেনর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, এবিএম জাকির হোসাইন এবং বিবিএসের উপমহাপরিচালক বাইতুল আমিন ভুঁইয়া। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় বিবিএস এনএইচডি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশের সকল খানা (আনুমানিক ৩ কোটি ৫০ লাখ) ও খানার সদস্যদের আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্ত, খানার কাঠামোগত অবস্থা, পরিসম্পদ ইত্যাদি সম্পর্কিত ডাটাবেইজ (তথ্য ভান্ডার) গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি তিনটি ধাপে জুলাই ২০১৩ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারের অধীন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর যথাযথ উপকারভোগী নির্বাচন সহজ হবে। এছাড়া প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে- আর্থ-সামাজিক তথ্য সম্বলিত দেশের সব খানাভিত্তিক তথ্য ভান্ডার প্রস্তুত, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা, অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বাস্তবায়িত প্রকল্প বা কর্মসূচির সমাপতন (ওভারল্যাপিং) পরিহারে সহায়তা করা, জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) ও পরিসংখ্যান ব্যবহারকারীদের তথ্যের চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদি।
×