ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মামলা করে বিপাকে বাদী

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ৩০ জুলাই ২০১৭

মামলা করে বিপাকে বাদী

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ মামলা করে বিপাকে পরেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া গ্রামের স্কুল ছাত্রী সারমিন। মামলা তুলে না নিলে সারমিনকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়ার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী মামুন পাহলান ও তার সহযোগিরা। এদের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না।আজ রবিবার স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েও সন্ত্রাসীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাড়ী ফিরে গেছে। মামলার বিবরন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া গ্রামের দরিদ্র জসিম গাজীর কন্যা সারমিন ও একই গ্রামের আলমগীর পাহলানের ছেলে মামুন পাহলান আঠারোগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া করতো। সারমিন আঠারোগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রী। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে মামুন পাহলান প্রায়ই সারমিনকে উত্যাক্ত করতো। গত বছর ১৫ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে মামুন পাহলান, বাবুল হাওলাদার ও নুরুল ইসলাম গাজী সারমিনকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার দিন আটকে রেখে একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় সামাজিকভাবে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছেলের বাবা আলমগীর পাহলান সারমিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। সারমিনকে বাবার কাছে তুলে দেয়ার পরে বিয়ে নিয়ে ছেলের বাবা টালবাহানা করতে থাকে। ছেলের বাবার কালক্ষেপনের কারন বুঝতে পেরে মেয়ের বাবা জসিম গাজী এ বছর ১৩ জুলাই বরগুনা শিশু আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধীত-২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা করে বিপাকে পরেছে মামলার বাদী সারমিন। মামলা তুলে না নিলে সারমিনকে এসিড মেরে ঝলসে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসী আসামী মামুন ও তার সহযোগীরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান জানান মামুন পাহলানকে ওই ঘটনার পর বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
×