ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাড থেটারের ‘নদ্দিউ নতিম’ আজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৩০ জুলাই ২০১৭

ম্যাড থেটারের ‘নদ্দিউ নতিম’ আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাত্রাপালার বিবেক গৌরাঙ্গ আদিত্য, যাত্রার মঞ্চে নয় এখন পক্ষাঘাতের সঙ্গে লড়াই করছেন। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে তাঁর শরীরের বাঁ পাশ স্থবির হয়ে পড়েছে। তাঁর চিকিৎসা সহায়তায় ঢাকার পাঁচটি নাট্যদল নাটক মঞ্চায়নের আয়োজন করেছে। এ আয়োজনের ধারাবাহিকতায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাড থেটার প্রযোজনা ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের ২৬তম প্রদর্শনী হবে। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কে কথা কয়’ উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুল ইসলাম, সোনিয়া হাসান ও আর্য মেঘদূত। নাটকটির সহযোগী নির্দেশক আনিসুল হক বরুণ, সেট ও লাইট ডিজাইন ফয়েজ জহির, পোশাক সোনিয়া হাসান, আবহসঙ্গীত আর্য মেঘদূত, আলোক নিয়ন্ত্রণে গর্গ আমিন ও আবহসঙ্গীত নিয়ন্ত্রণে সোহেল খান ও আরিফ। ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের কাহিনিতে দেখা যায় মতিন উদ্দিন মনে মনে নিজেকে কল্পনা করে নেয়- সে একজন উজবেক কবি। নিজেই সে নিজেকে স্বপ্ন দেখে- ধবধবে ফর্সা গায়ের রং, পরনে জোব্বার মতো একটা পোশাক, লম্বাটে মুখ, চোখ তীক্ষè। মতিনের মধ্যে বাস করে অন্য এক মতিন। দিনে দিনে মতিন উদ্দিন হয়ে ওঠে নদ্দিউ নতিম। মতিনের হৃদয়ের সবটুকু দখল করে থাকে সহপাঠিনী নিশু। ভাবের ভেলায় ভেসে বেড়ালেও ভাবাবেগে মতিন ডুবে যায় না, সে বুঝতে পারে নিশুর মতো স্কলার মেয়ের যোগ্য সে নয়। মতিনের একদিন চোখে পড়ে পত্রিকার পাতায় তিন লাইনের ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন- একজন সার্বক্ষণিক টিউটর প্রয়োজন, টিউটরের সৃজনশীলতা ব্যক্তিগত যোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে। বেতন আকর্ষণীয়। বেতনের আকর্ষণীয় ক্ষমতায় মতিন তার কবি সত্তাকে সাময়িক স্তিমিত রেখে কমল নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চার টিউটর পদে অভিসিক্ত হয়। মতিনের কর্মকাে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হওয়ায় তাকে টিউটর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু প্রতিবন্ধী বাচ্চাটি কবিকে ভোলে না। বাচ্চাটি কবির সঙ্গে কথা বলতে চায়, কিন্তু সে সুযোগ তো আর নেই। কবি চলে গেছে। বাচ্চাটি জেদ ধরে- সে কথা বলবেই বলবে। এক পর্যায়ে সুযোগ হয় কবির সঙ্গে কথা বলার। কমল মতিনের সঙ্গে তার জীবনের একটি সিক্রেট শেয়ার করে, যে সিক্রেটের জন্য মতিনকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়াতে হয়। হাসপাতালের এক হিমশীতল ঘরে সে শুয়ে থাকে। তার কাছে মনে হয়, সে যেন অনন্তকাল এভাবেই শুয়ে ছিল। মানুষের অবচেতনে এক ধরনের সূক্ষ্ম পাগলামি কাজ করে। এই পাগলামি ব্যবহার করে কেউ কেউ প্রথাগত যুক্তি বুদ্ধির দেয়াল ভেঙ্গে নতুন সমীকরণ আমাদের সামনে দাঁড় করায়। যারা এ পাগলামি ব্যবহার করতে পারে তারা প্রচলিত ধারার বাইরে নতুন কিছু করার সম্ভাবনা তৈরি করে। সেই সম্ভাবনাকে থিয়েটারের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য ম্যাড থেটার।
×