ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে খানাখন্দে ভরা সড়ক যেন মরণফাঁদ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২৯ জুলাই ২০১৭

যশোরে খানাখন্দে ভরা সড়ক যেন মরণফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরের রেলগেট থেকে চাঁচড়া চেকপোস্ট পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সেই খানাখন্দ ভরে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ইজিবাইক, রিক্সা, ভ্যানে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সর্বসাধারণকে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ রাস্তায় কোন ড্রেন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় রাস্তা। পাশাপাশি রাস্তার পাশের পুকুরের পানি উপচে রাস্তায় চলে আসে। আর সবজিবাগের ভেতরের হ্যাচারিগুলোর পুকুরের পানি বৃদ্ধি পেলে শ্যালো মেশিন দিয়ে পাম্প করে তুলে রাস্তায় ফেলে। এতে বিটুমিন কার্পেটিং উঠে দ্রুত রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বছরের বেশিরভাগ সময় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী থাকায় দুর্ভোগ পোহায় হাজার হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, বর্ষা শুরুর অল্প কিছুদিন আগে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এ রাস্তার সংস্কার করে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তার খানাখন্দ ও গর্ত ইট দিয়ে ভরাট করে কার্পেটিং করে দেয়া হয়। কিন্তু বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পানি জমে বিটুমিন কার্পেটিং উঠে রাস্তাটি আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, রেলগেট তেঁতুলতলা থেকে ডালমিল মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা অল্প বিস্তর খারাপ হলেও সবচেয়ে বাজে অবস্থা মসজিদের সামনে থেকে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে হয়ে সবজিবাগ এলাকা পর্যন্ত। রাস্তার বিটুমিন কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত রাস্তাজুড়ে। সংস্কারের সময় বিছানো ইট পিচ খোয়ার আস্তরণ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদী স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী থেকে জানান, টানা বর্ষণ এবং ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক পণ্যবোঝাই যান চলাচল করে ঈশ্বরদীর ৬০০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৫০ ভাগ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।বিশেষ করে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে চলাচলের চার সড়কের গুরুত্বপূর্ণ দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় ও আড়মবাড়িয়া বাজার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার সড়কে খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি শুধু মোড় এলাকা অতিক্রম করতেই অধিক সময় লাগছে। পৌর এলাকার সড়কগুলোর অবস্থাও তথৈবচ।
×