ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলনের পালা এবার

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৯ জুলাই ২০১৭

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলনের পালা এবার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফিটনেস ক্যাম্প শেষ। এবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলনে নামার পালা। আজ থেকেই সেই অনুশীলন শুরু হয়ে যাবে। যে অনুশীলন পর্বে এবার থাকবেন খোদ প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। হাতুরাসিংহে এতদিন প্রস্তুতি ক্যাম্পে ছিলেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হওয়ার পর একদিকে ইংল্যান্ড থেকে মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিমরা দেশে ফিরে এসেছেন। আরেকদিকে হাতুরাসিংহে পরিবারকে সময় দিতে ছুটি কাটাতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। এরমধ্যে ক্রিকেটাররাও ছুটি পান। বিরতি থাকে ক্রিকেটেও। ১০ জুলাই থেকে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়। শুরুতে ফিটনেস ক্যাম্প হয়। স্ট্রেন্থ এ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়েন ফিটনেস ক্যাম্প করান। এখন থেকে হাতুরাসিংহের তত্ত্বাবধানে হবে অনুশীলন। শুক্রবারই হাতুরাসিংহের বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা রয়েছে। অবশ্য হাতুরাসিংহে এতদিন না থাকলেও ফিটনেস ক্যাম্প শেষে ক্রিকেটাররা নিজেদের তাগিদে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার ও বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের তত্ত্বাবধানে তো পেসারদের নিয়ে ‘বিশেষ ক্যাম্প’ই হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্দেশ্যেই এ ক্যাম্প শুরু হয়েছে। ১৮ আগস্ট বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার কথা আছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ক্রিকেটারদের মধ্যে যদি আর্থিক ঝামেলা মিটে যায় তাহলে যথাসময়েই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটাররা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবেন। বাংলাদেশে পা রাখার পর তিনদিন প্রস্তুতি সেরে ফতুল্লায় ২২ আগস্ট থেকে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে দুইদিন অথবা তিনদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন অসি ক্রিকেটাররা। এই ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন ক্রিকেটারও খেলবেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৭ আগস্ট প্রথম টেস্ট ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শেষে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবেন। এ দুই সিরিজকে সামনে রেখেই প্রস্তুত হচ্ছেন মাশরাফি, মুশফিকরা। তবে প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজকেই আমলে নিচ্ছে ক্রিকেটাররা। সেই সিরিজ নিয়েই যত ভাবনা চলছে। যদিও শুক্রবারের আগ পর্যন্ত ক্রিকেটাররা নিজেদের ফিটনেস নিয়েই বেশি ভাবনায় ছিলেন। এখন থেকে কোচ হাতুরাসিংহের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা নিয়ে চলবে আলোচনা। সেই সঙ্গে অনুশীলনটাও পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। এতদিন মিরপুরে ফিটনেস ক্যাম্প হয়েছে। এবার চট্টগ্রামেও ক্যাম্প করবে ক্রিকেটাররা। জানা গেছে, ৪ আগস্ট চট্টগ্রামে যাবেন ক্রিকেটাররা। এর আগ পর্যন্ত মিরপুরে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলন করবেন। চট্টগ্রামে গিয়ে ৫ আগস্ট থেকে প্রস্তুতি ক্যাম্প করবেন। এরপর ৯ আগস্ট তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবেন চট্টগ্রামে। ১২ আগস্ট ক্রিকেটাররা ঢাকায় ফিরে আসবেন। ঢাকায় আরও ৫ দিনের মতো অনুশীলন হবে। আর চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ অনুশীলনের মধ্যে থাকবেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে ২৯ ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) খেলবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এ দুইজন অনুশীলনে থাকবেন না। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছেন এনামুল হক বিজয়। তিনিও অনুশীলনে থাকছেন না। বাকিরা অনুশীলনে থাকবেন। অনুশীলনে থাকা ক্রিকেটাররাই দুইভাগে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবেন। এরপর অসিদের বিপক্ষে ২২ আগস্ট শুরু হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচের পরে চূড়ান্ত দল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচকদের সঙ্গে এ মাসেই হয়তো আলোচনায় বসে যাবেন হাতুরাসিংহে। এদিকে বাংলাদেশে সফর করতে আসবে কিনা অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে শঙ্কা এখনও দূর হয়ে যায়নি। প্রতিদিনই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন আলোচনায় বসছে। কিন্তু কোন সুরাহা হচ্ছে না। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড যখন বলেছেন, ‘এসিএ-র প্রস্তাবই বাংলাদেশ সফরকে বিপদে ফেলছে। এসিএ যেটা প্রস্তাব করেছে আমার মনে হচ্ছে এটা বাংলাদেশ সফর, ভারত সফরসহ আসন্ন সফরগুলোকে বিপদে ফেলছে।’ তখন শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়। কিন্তু আশার আলোও মিলছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজার গেভিন ডুভেই সেই আশা দেখিয়েছেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজার গেভিন ডুভে সাংবাদিকদের বলেন, ‘টিম অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে আয়োজকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ছক দেখে আমরা সন্তুষ্ট। নিরাপত্তাজনিত কোন বিষয় নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভেন্যুর প্রস্তুতি ও সুযোগ-সুবিধা দেখেও আমরা খুশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। তারা হোম টেস্ট সিরিজ আয়োজনে কোন ধরনের কমতি রাখেনি। দেশে ফিরে আমরা টিম অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে পজেটিভ রিপোর্টই দেব। এরমধ্যে যদি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব নিরসন হয় তাহলে যথাসময়েই বাংলাদেশ সফরে আসবে টিম অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে এই সফর নিয়ে আর কোন বাধা থাকবে না।’ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল শেষ পর্যন্ত খেলতে বাংলাদেশে আসবে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে। তাই বলে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা নিজেদের তৈরি করতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছেন না। আজ থেকেই ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলনও পুরোদমে শুরু হয়ে যাচ্ছে। মোহামেডান-শেখ জামাল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, অপর ম্যাচে ব্রাদার্স মুখোমুখি বিজেএমসির রুমেল খান ॥ ‘মোহামেডান’ শব্দটিই যথেষ্ট ক্লাবটির ঐতিহ্য, আবেগ, আর ভালবাসা প্রকাশ করতে। তবে দিনে দিনে জৌলুসহীন হয়ে পড়েছে ত্রিশের দশকে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটির। ভুলেই গেছে বড় আসরের শিরোপার স্বাদ। তবে এবার দেশের পরীক্ষিতদের দলে টেনে জানান দিয়েছে ভাল কিছুর। সবশেষ কবে কোন্ আসরের শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান? এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহামেডানের অন্ধ সমর্থকদেরও ভাবতে হবে বেশ কিছুক্ষণ। ২০১৪ সালে। ক্লাবের শোকেসে সর্বশেষ ঢুকেছিল স্বাধীনতা কাপের শিরোপা। এরপর শুধুই হাহাকার। যে ক্লাবকে নিয়ে ফুটবলভক্তদের আবেগ-উন্মাদনা, স্টেডিয়ামের গ্যালারি দুইভাগে বিভক্ত, সেই মোহামেডান গত মৌসুম লীগ শেষ করে টেবিলের দশে থেকে (১২ দলের মধ্যে), আর সর্বশেষ লীগ জিতেছিল সেই ২০০২ সালে। তার মানে দীর্ঘ ১৫ বছর হয়ে গেল এখনও ঘরোয়া লীগের সবচেয়ে বড় আসরটির শিরোপা লাভ থেকে বঞ্চিত আছে তারা। ভাবা যায়! একযুগেরও বেশি সময় ধরে এই অপ্রাপ্তি ঘোচাতে তারা আজ থেকে মিশন শুরু করবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়। তবে প্রথম সাক্ষাতেই কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। প্রতিপক্ষের নাম শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা যেন মরীচিকা হয়ে গেছে সাদা-কালোদের কাছে। ২০০২ সালে শেষবার লীগ শিরোপা জিতেছিল তারা (তখন নাম ছিল প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগ)। পেশাদার লীগের টাইটেল এখনও হাতে ওঠেনি তাদের (২০০৭ সাল থেকে শুরু হয় পেশাদার লীগ, প্রথম তিন আসরেই রানার্সআপ হয়েছিল তারা)। গত দুই মৌসুমে ভাল দল না গড়লেও এবার দেশের অভিজ্ঞদের দলে টেনেছে। কোচের দায়িত্বে আনা হয়েছে ভারতের পরীক্ষিত সৈয়দ নাইমউদ্দিনকে। ভারতীয় এই কোচকে লড়াইয়ে পুঁজি দিচ্ছেন এমিলি, তকলিস, মামুন খান, লিংকনদের মতো জাতীয় দলের প্রতিনিধিরা। লীগে দুই বিদেশী খেলানোর নতুন নিয়মে স্থানীয়দের নিয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকছে মতিঝিলের ক্লাবটি। অনুশীলনের অভাবে ফেডারেশন কাপে ভাল ফল করেনি মোহামেডান। ছিটকে পড়তে হয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই। লীগের আগে লম্বা সময় পেয়ে দলের কম্বিনেশন গড়ে নিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। মাঠের লড়াইয়ে এখন সেরাটার অপেক্ষা। কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির সময়কালে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবকে পেশাদার লীগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন বাফুফের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। অথচ প্রথম আবির্ভাবেই ২০১০ লীগ শিরোপা জিতে উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল শেখ জামাল। এরপর আরও দু’বার টানা শিরোপা জেতে তারা (২০১৩ ও ২০১৪)। গত লীগে তৃতীয় হয়েছিল তারা। সর্বশেষ লীগে হেড টু হেড লড়াইয়ে প্রথম সাক্ষাতে মোহামেডানের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত জামাল। ফিরতি লড়াইয়ে অবশ্য ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’দের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল জামাল। শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে বিকেল সাড়ে ৫টায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন মুখোমুখি হবে টিম বিজেএমসির। গত লীগে চতুর্থ হয়েছিল ‘দ্য অরেঞ্জ ব্রিগেড’ খ্যাত ব্রাদার্স। এবার একধাপ ওপরে থাকতে চায় গোপীবাগের দলটি। একসময় আবাহনী ও মোহামেডানের পরেই ঘরোয়া ফুটবলের তৃতীয় শক্তি ছিল গোপীবাগের দল ব্রাদার্স। ২০০৩ এবং ২০০৪ মৌসুমে টানা দু’বার প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ লীগ শুরুর পর ছন্দ হারায়। শিরোপার দৌড়ে আর কখনই দেখা যায়নি ব্রাদার্সকে। এবারের দলবদলে ব্রাদার্স হারিয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। প্রিমিয়ার লীগ শুরুর আগে ইউরোপিয়ান কোচ এনে চমক দিয়েছে তারা। ইতালিয়ান জিওভান্নি স্কানুতে ভাল কিছুর আশা করছে দল। তবে এ জন্য তাড়াহুড়ো নয় ধাপে ধাপে এগুতে চান জিওভান্নি। কোচিং স্টাইল সম্পর্কে চিরকালীন ইতালিয়ান স্টাইলই পছন্দ জিওভান্নির, ‘প্রথমে ডিফেন্স করা, তারপর আক্রমণ করা।’ জিওভান্নি ফুটবলও খেলেছেন, নিজের এলাকার ছোটখাট ক্লাবগুলোতে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে। তবে অল্প বয়সেই হাঁটুতে চোট পেয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে বাধ্য হন। ১৯৯৮ সাল থেকেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন পেশাদারিভাবে। এ পর্যন্ত ইতালি, ব্রাজিল, নাইজিরিয়া, হাঙ্গেরি ও লিথুনিয়ার মোট ১৩টি ক্লাবের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও ক্লাবগুলোর কোনটাই পরিচিত বা খ্যাতিসম্পন্ন নয়। এগুলো হলো : ইতালির এস প্রেদু (১৯৯৮-২০০০), ইতালির এ্যাটলেটিকো নুওরো (দু’ দফায় ২০০১-০৩ এবং ২০০৫-০৬), ইতালির লকুলেসে (২০০৩-০৪), ইতালির তুত্তাভিস্তা (২০০৪-০৫), ইতালির ইউএস তেম্পিও (২০০৬-০৭), ইতালির কোমো (২০০৭-০৮), ইতালির আলঘেরো (২০০৮-১০), ইতালির তাভোলারা (২০১০-১১), ইতালির নুরেজে (২০১১-১২), লিথুনিয়ার এফকে তাউরাস (দু’দফায় ২০১২ এবং ২০১৫), নাইজিরিয়ার এফসি কাদুনা (২০১৩-১৪), ব্রাজিলের করিতিবা (২০১৫) এবং হাঙ্গেরির এফসি তাতাবানিয়া (২০১৭ সালের জানুয়ারি-মে পর্যন্ত)। ইতালিয়ান, ইংরেজী এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় পারদর্শী জিওভান্নির কোচিং সাফল্য বলতে ২০০৭-০৮ মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব কোমোর হয়ে সিরি-টুতে ইতালিয়ান এ্যামেচার চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০০৬-০৭ মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব তেম্পিওর হয়ে সিরি ‘ডি’তে এ্যামেচার ইতালিয়ান কাপের শিরোপা জেতা। ‘সোনালী আঁশের দল’ খ্যাত বিজেএমসি গত লীগে হয়েছিল সপ্তম। গত লীগে তারা প্রথম সাক্ষাতে ব্রাদার্সকে রুখে দিলেও (১-১) ফিরতি ম্যাচে হেরেছিল (১-৪)। এবার তাদের লক্ষ্য সেরা পাঁচের মধ্যে থাকা।
×