ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ’

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ জুলাই ২০১৭

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালক। তিনি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিরও চেয়ারম্যান। ক্রিকেটারদের দেখভালের দায়িত্ব তার কমিটির ওপরই আছে। ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুবিধা থেকে শুরু করে সবকিছু তার কমিটিকেই দেখতে হয়। আকরামও সেই কাজ ভালভাবেই করার চেষ্টা করছেন। তিনি মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ মুহূর্তে কক্সবাজারে চলছে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল। সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে এ কার্নিভাল চলছে। সেখানে খেলছেন আকরাম খানও। তার আশা, বাংলাদেশ সফরের আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) মধ্যে আর্থিক বনিবনা নিয়ে যে ঝামেলা তাও মিটে যাবে। অস্ট্রেলিয়া যদি না আসে? এমন প্রশ্নে আকরাম বলেন, ‘এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। এটা অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে এ সমস্যার সমাধান তো হবেই। আশা করছি আমাদের সিরিজের আগেই হয়ে (সমাধান) যাবে এবং আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলব। তাদের সঙ্গে আমাদের টেস্ট সিরিজটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইতিবাচকভাবেই সবকিছু নিচ্ছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে আমার কাছে মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলাটা খুবই কাজে আসবে।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছে বাংলাদেশ। এরআগে আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজ খেলেছে। তারও আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০ ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। সেই মার্চে শেষ টেস্টটি খেলেছে বাংলাদেশ দল। চারমাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল টেস্ট সিরিজ খেলেছে। যখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ তখন সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় টেস্ট থেকে বিরতি হয়ে যাবে বাংলাদেশের। এই দীর্ঘ বিরতি আরও বেড়ে যেতে পারে, যদি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল খেলতে না আসে। তখন সেপ্টেম্বরের শেষদিকে যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ, টেস্ট ক্রিকেট থেকে সাড়ে ছয় মাসের বিরতি হয়ে যাবে। তাই অসিদের বিপক্ষে সিরিজকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই সিরিজ খেলেই যে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে আবার অভ্যস্ততা বাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। এ জন্য ক্রিকেটাররা চট্টগ্রামে অনুশীলনও করবেন। অসিদের বিপক্ষে চট্টগ্রামেও যে ম্যাচ রয়েছে। তাইতো আকরামকে ‘৪ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে’ জিজ্ঞেস করতেই আকরামের জবাব, ‘প্র্যাকটিস তো সবসময় পারফেক্ট করার চেষ্টা করা হয়। এমনিতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ক্রিকেটের সঙ্গেই আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর কিছুটা ব্রেক হয়েছিল। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করার পর এখন ব্যাটিং-বোলিং শুরু করেছে। চিটাগাংয়ে তারা ম্যাচ দিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করবে। অস্ট্রেলিয়া ভাল টিম। কোন সন্দেহ নেই যে তারা যে কোন কন্ডিশনে দারুণ একটি দল। সেখানে বাংলাদেশকে ভাল করতে হলে তিনটি বিভাগেই আমাদের ভাল করতে হবে, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং। গত কিছুদিন যাবত বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, বিশেষ করে দেশে যেভাবে পারফর্ম করছে, আশা করছি ভাল করবে।’ বাড়তি সুবিধার জন্য চট্টগ্রামে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করা? আকরাম জানান, ‘যেহেতু আমাদের চট্টগ্রামে খেলা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চিটাগাংয়ে একটা টেস্ট আমরা খেলব। সেখানে আমরা আরও অভ্যস্ত হব। হোম এ্যাডভান্টেজ তো নিতেই হবে। সে জিনিসটা আমাদের মাথায় আছে। এখানে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেয়া যায়।’ আকরামের কাছে জিম্বাবুইয়ে এ দল ও আফগানিস্তান যে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলবে তা নিয়েও জিজ্ঞেস করা হয়। আকরাম জানান, ‘জিম্বাবুইয়ে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তারা এখানে এসে ম্যাচ খেলবে। আফগানিস্তানের আসাটা এখনও নিশ্চিত না, কথাবার্তা চলছে।’ ব্যাটিং কোচ প্রসঙ্গেও আকরাম মুখ খোলেন। তিনি জানান, ‘একজন কোচ আসার কথা। কিছুদিনের মধ্যেই আসবেন। সম্ভবত দু’চারদিনের মধ্যেই আসবেন ব্যাটিং কোচ। তিনি বিশেষ করে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করবেন। আমরা কিছুদিনের জন্য তাকে আনছি। যদি আমাদের ভাল মনে হয় তখন তিনি লম্বা সময়ের জন্য থাকবেন। কিছু বিধি-নিষেধ থাকায় নাম এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে এটুকু বলতে পারি যে তিনি অস্ট্রেলিয়ান।’
×