** বৃষ্টির নৃত্য
এস এম শহীদুল আলম
রিমঝিম ঝরঝর
সারাদিন হরহর
বৃষ্টির নৃত্য-
কাব্যিক দৃশ্যেই
নেচে ওঠে চিত্ত!
দিগন্ত ছলোছল
জল করে টলোমল
ফুল ফোটে ছন্দে-
চারপাশ মেতে ওঠে
সুবাসিত গন্ধে!
মেঘ ভেজা দিন
আখতারুল ইসলাম
মেঘলা দুপুর বৃষ্টি নূপুর
বাজে সারাক্ষণ,
ভিজছে পাহাড়, ভিজছে নদী
ভিজে কত বন।
আকাশ যখন মেঘের সাগর
স্রোত ধারা বয়,
আমি তখন ভিজতে থাকি
মন কী ঘরে রয়।
মন উদাসীন বৃষ্টি সুরে
টাপুরটুপুর খুব,
পাতায় পাতায় গোলাপ ফোটে
বৃষ্টিতে দেই ডুব।
বৃষ্টি ভেজা ফুলের ঘ্রাণে
আপ্লুত হয় মন,
সব নিজ ঝুম মেঘ ভেজা দিন
সুখের অনুক্ষণ।
** বিষ্টি
আবেদীন জনী
বিষ্টি নামে শ্যামল গ্রামে
সকাল দুপুর জলের নূপুর বাজে-
গাছের পাতায়, মাথার ছাতায়
সুর মেখে যায় মনের খাতায়
টপটপাটপ টাপুরটুপুর
কী জাদু হায় ছন্দ-কারু কাজে!
নদীর বুকে জল করে থই থই
ডোবার জলে টেংরা-পুঁটি-কই।
পদ্ম ফোটে, শাপলা ফোটে
কদম-কেয়ার গন্ধ হাওয়ায় ভাসে-
বৃক্ষলতা বৃষ্টি ধোয়া
মাটির বুকে জলের ছোঁয়া
সজীবতার নিটোল ছবি
বৃষ্টিভেজা মাঠের ঘাসে ঘাসে।
বৃষ্টিতে ঘাম-ক্লান্তিরা যায় ধুয়ে
সিক্ত হাওয়া যায় দেহ-মন ছুঁয়ে।
** বর্ষা মানে
স্বপন শর্মা
বর্ষা মানে আষাঢ় শ্রাবণ
জলের সাথে বাস,
বর্ষা মানে ছা-পোষাদের
চরম সব্বোনাশ।
বর্ষা মানে যখন তখন
কদম ফুলের ঘ্রাণ
বর্ষা মানে ঘরের ভেতর
আটকে রাখা প্রাণ।
বর্ষা মানে হঠাৎ করেই
টাপুরটুপুর বৃষ্টি-
বর্ষা মানে আকাশজুড়ে
মেঘের বজ্র সৃষ্টি।
বর্ষা মানে ডোবা-পুকুর
অথৈ জলে ভরে,
জলের সাথে জলকেলি হয়
আষাঢ় শ্রাবণ ধরে।
**বৃষ্টি
ফারজানা নেহেরিন দীপ্তি
বৃষ্টি কাছের, বৃষ্টি দূরের
বৃষ্টি দিনের, বৃষ্টি রাতের
বৃষ্টি গভীর, বৃষ্টি কবির
বৃষ্টি দেখি, বৃষ্টি আঁকি
বৃষ্টি ভাবায়, বৃষ্টি কঁাঁদায়
বৃষ্টি যখন, বৃষ্টি তখন
বৃষ্টি ভাসায়, বৃষ্টি ডুবায়
বৃষ্টি মধুর, বৃষ্টি বিধুর
বৃষ্টি ভেজায়, বৃষ্টি জ্বালায়
বৃষ্টি কালো, বৃষ্টি ভালো
বৃষ্টি রুপার, বৃষ্টি সোনার
বৃষ্টি তোমার, বৃষ্টি আমার
--
** বর্ষাকালে
শ্যামল রায়
বর্ষাকালে নদী-খালে
পানি করে থই থই
চড়ে ভেলা করে খেলা
ছেলে মেয়ের হৈ চৈ।
টিনের চালে গাছের ডালে
বৃষ্টি পড়ে রিম্ঝ্মি
মেঘে ঢাকে সূর্যটাকে
বাইরে যেতে হিমশিম্।
ডাকে দেয়া বন্ধ খেয়া
উভয় পাড়ে যাত্রী ভিড়
স্রোতের গতি প্রখর অতি
ঢেউয়ে ভাঙ্গে নদী তীর।
প্রবল ঢলে বানের জলে
দিশেহারা চাষীভাই
আউশ ডোবে দুঃখ ক্ষোভে
কৃষক মুখে হাসি নাই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: