ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজধানীতে সবজির দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২৯ জুলাই ২০১৭

সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজধানীতে সবজির দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অতিবৃষ্টি বন্যা ও জলাবদ্ধতা এই তিন কারণে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় রাজধানীতে বেড়ে গেছে সব ধরনের সবজির দাম। আমদানিকৃত চাল দেশে আসা শুরু হলেও দাম কমছে না। মোটা চাল একটু কমে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে এই দামেই স্বল্প আয়ের ভোক্তারা চাল কিনেছেন। আর মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো চিকন চালের দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ভাল জাতের মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকায়। কেজিপ্রতি ৫-৮ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকায়। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি, আলু এবং আদার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। আটা, ডাল ও চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এবং মুগদাপাড়া বড়বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, সারা দেশে ভারি বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমান প্রতিকেজি কাঁচামরিচ জাত ও মানভেদে ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজি, মাছসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ার জন্য অব্যাহত বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সারাদেশে বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন পর্যায়ের কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের উৎপাদনে। এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বেগুন প্রতিকেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা, দেশী টমেটো ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৫৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা এবং লেবু হালিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটিপ্রতি ২০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং লাউ শাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কেজিপ্রতি দেশী রসুন ৯০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১২০ টাকা, আলু ২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল জনকণ্ঠকে বলেন, টানা বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে সবজি ক্ষেতগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে গ্রাম থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। ওই বাজারের সবজি ক্রেতা আসলাম জানালেন, বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। ওইদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে শুক্রবার পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। চাহিদা পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে এই দামে চাল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
×