ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাসচালক রুহুল হত্যার আসামিরা গ্রেফতার হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৯ জুলাই ২০১৭

বাসচালক রুহুল হত্যার আসামিরা গ্রেফতার হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সায়েদাবাদে তিশা পরিবহনের চালক রুহুল আমিনকে মালিক পক্ষ প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করছে জাতীয়তাবাদী চালক সংগ্রাম দল নামের একটি সংগঠন। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ সংগঠনের নেতাদের। অবিলম্বে হত্যাকারীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তারা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক সংগ্রাম দলের উদ্যোগে ‘মোটরচালক রুহুল আমিন হত্যার প্রতিবাদে’ মানববন্ধনে এ অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চালক রুহুল আমিনকে শুধু হত্যা করা হয়নি তার পরিবারকে ধ্বংস করেছে খুনীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও খুনীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। রুহুল আমিনের পরিবারকে ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য মানববন্ধন থেকে দাবি করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, তার অপরাধ কি ছিল সে নিজেও জানত না। মালিকের গাড়িতে ঠুনকো একটি দাগ থাকায় অপ্রত্যাশিতভাবে চালকের ওপর হামলা চালানো হয়। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ করেন তারা। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আয়নাল হোসেন মনিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেনÑ এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, ফরিদ উদ্দিন, ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওয়াহিদুল ইসলাম, মোঃ হানিফ, হাফিজ উদ্দিন রুবেল, মোঃ মিলন তালুকদার প্রমুখ। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, ঘটনার পর থেকেই খুনীদের গ্রেফতার নানা কর্মসূচী পালিত হয়ে আসছে। তারা জানান, গত ১৬ জুলাই রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালক রুস্তম আলীর ওপর হামলা চালায় তিশা পরিবহনের মালিক মোঃ খোকনসহ আরও কয়েকজন। এরপর তার মৃত্যু হয়। বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী রেজা ঘটনার পরদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে চালক হত্যাকা-ের তীব্র প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পরিবহন মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বাসচালক রুহুল আমিনের ওপর হামলার পর মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর কোন হাসপাতালে না পাঠিয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার মির্জানগর গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে বাড়ি যাওয়ার পর রুহুল আমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা কুমিল্লার হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
×