ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া আতঙ্ক নয়!

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৯ জুলাই ২০১৭

ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া আতঙ্ক নয়!

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর। এডিস মশার কামড়ে এই রোগ হয় এবং একজনের মাধ্যমে অন্যজনও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এডিস মশার কামড়ে এ রোগ হলেও এতে মৃত্যুঝুঁকি নেই। ৩/৪ দিনের জ্বরে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা, বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন গিটায় গিটায় প্রচ- ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীরে র‌্যাশ, বমি বমি ভাব এবং খাবারে অরুচি ও অনিদ্রা এর মূল লক্ষণ। দিন দিন এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। শুধু রাজধানীতে নয়, সারাদেশেই এ রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। ছোট বড় সবাই এ রোগে আক্রান্ত হলেও বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছেন বয়োবৃদ্ধরা। তাঁরা বিছানা থেকে ওঠার শক্তি পর্যন্ত পাচ্ছেন না। হাঁটা চলা তো দূরে থাক, কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। তাই সন্ধ্যার আগেই ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে। জানালা, দরজায় মোটা পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে মশা সহজে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে। দিনে এবং রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। এডিস মশা সাধারণত বর্ষা মৌসুমেই বেশি দেখা যায়। কারণ বৃষ্টির জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এ মশা ডিম পাড়ে। যেমন ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, ক্যান, ভাঙ্গাহাঁড়ি, নষ্ট টায়ার, বেটারীর নষ্ট খোল ইত্যাদি। তাই ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে আগে আমাদের এগুলো অপসারণ করতে হবে। আগে থেকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হতো ডিসিসিকে। কিন্তু তারা সেটা করেনি। তাই তাদের কাছে অনুরোধ, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এডিস মশা নিধনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তিতে কিছুটা হলেও সুফল ব্যয় আনবে। আতঙ্কিত না হয়ে মশার কামড় থেকে নিজেকে এবং অন্যকে সুরক্ষাই ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার একমাত্র পথ। তাই আগে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। জ্বর হলেই দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক স্বাস্থ্য টিপস গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
×