স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আহত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে (২৩) উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাই পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে আই হাসপাতালে তাকে ডাক্তার দেখানো হবে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার একটি ফ্লাইটে তাকে চেন্নাই পাঠানো হয়। সেখানে শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে তাকে ডাক্তার দেখানো হবে। তিনি জানান, সিদ্দিকুরের সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ জাহিদুল আহসান মেনন ও সিদ্দিকুরের বড় ভাই নওয়াব আলী। দুপুরে বিমানবন্দর পৌঁছার পর সিদ্দিকুরের বড় ভাই নায়েব আলী জানান, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে যাচ্ছি। দেশবাসীর কাছ দোয়া চাচ্ছি যাতে আমার ভাই সুস্থ হয়ে উঠে। তিনি জানান, আমরা গরিব মানুষ। ভাই ছাড়া আমাদের আর কোন সম্পদ নাই। সংসারে সেই লেখাপড়া করেছে। তার মনের আশা যেন পূর্ণ হয়। আমার ভাই সে যেন চোখের আলো ফিরে পায়। আপনারাও আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। এর আগে হাসপাতালে সিদ্দিকুর রহমান বলেছিলেন, আমি ফিরে এসে যেন সবাইকে দেখতে পারি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
গত বৃহস্পতিবার আহত হন সিদ্দিকুর। সেদিনই তাকে ভর্তি করা হয় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা বলেছেন, সিদ্দিকুর ডান চোখে আলো দেখছেন না। বাঁ চোখের এক দিক থেকে আলো কিছুটা উপলব্ধি করতে পারছেন।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে চিকিৎসা করানো হবে। চেন্নাই পাঠানোর আগে সিদ্দিকুর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই সাত সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকালে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান দুই চোখে আঘাত পান। প্রথমে সিদ্দিকুরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর তাকে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত শনিবার তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়।
