ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৮ জুলাই ২০১৭

ঝলক

চিপসের কৌটায় কোবরা! আমেরিকার কৌঁসুলিরা বলেছেন, চিপসের কৌটার ভেতর তারা তিনটি জ্যান্ত শঙ্খচূড় সাপ পেয়েছেন। দেশটির শুল্ক কর্মকর্তারা কৌটাটি জব্দ করেন। তারা জানিয়েছেন, এই তিনটি ভয়ঙ্কর বিষধর বা শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা সাপ চিপসের কৌটায় ভরে পাঠানো হচ্ছিল। আর যার উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছিল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া লোকটির নাম রডরিগো ফ্র্যাঙ্কো। ৩৪ বছর বয়সী ফ্র্যাঙ্কো ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। সম্প্রতি লসএ্যাঞ্জেলেস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চোরাপথে সাপ আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছে। শুল্ক কর্মকর্তারা গত মার্চে হংকং থেকে ফ্রাঙ্কোর নামে পাঠানো একটি প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে এর ভেতর দুই ফুট লম্বা সাপগুলো আবিষ্কার করেন। তবে এতদিন খবরটি প্রকাশ করা হয়নি। ওই একই চালানে ছিল তিনটি দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির এ্যালবিনো চীনা কচ্ছপও। কর্মকর্তারা সাপগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে বাজেয়াফত করেন; কিন্তু কচ্ছপগুলো ফ্রাঙ্কোর বাসায় পৌঁছে দেন। শুল্ক কর্মকর্তারা ফ্র্যাঙ্কোর বাসা তল্লাশি করে সেখানে শিশুদের শোবার ঘরে পানির ট্যাঙ্কে জ্যান্ত একটি বিশেষ প্রজাতির কুমিরের বাচ্চা এবং দুষ্প্রাপ্য ও বিশেষ প্রজাতির বিভিন্ন কচ্ছপ পান। সরকারী কৌঁসুলিরা বলছেন, এগুলো আমেরিকার আইনে সুরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী। অভিযোগে বলা হয়েছে, ফ্র্যাঙ্কো এশিয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে হংকং থেকে আমেরিকায় কচ্ছপ চালান দেয়ার ব্যাপারে টেক্সট মেসেজ আদানপ্রদান করেন। ফ্র্যাঙ্কোর বাসায় তল্লাশির সময় পাওয়া টেক্সট মেসেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়: তিনি অতীতেও জ্যান্ত গোখরা প্রজাতির সাপ এনেছেন; এর মধ্যে পাঁচটি সাপ তিনি ভার্জিনিয়ায় তার আত্মীয়দের দেবার পরিকল্পনা করেছিলেন। এসব তথ্য আদালতের নথিতে প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতের নথি থেকে আরও জানা যাচ্ছে, তিনি আমেরিকার মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিভাগের এক কর্মকর্তার কাছে একথা স্বীকারও করেছেন যে, এর আগে দুটি চালানে তিনি ২০টি বিষধর বা শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা আমদানি করেছিলেন। তবে আনার সময় সব সাপই মারা যায়। যে তিনটি বিষধর বা শঙ্খচূড় গত মার্চে শুল্ক কর্মকর্তারা বাজেয়াফত করেছেন তার মধ্যে দুটি এখন সান দিয়াগোর চিড়িখানায় রাখা হয়েছে, তৃতীয়টি মারা গেছে। দোষী প্রমাণিত হলে ফ্র্যাঙ্কোর বিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। শঙ্খচূড়কে বলা হয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিষধর সাপ। যার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১৮ ফুটের বেশি হতে পারে। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। -লসএ্যাঞ্জেলেস টাইমস ও বিবিসি অবলম্বনে এইচআইভি প্রতিরোধে নয়া ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী বলছেন, এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের এক পরীক্ষায় তারা সফল হয়েছেন। আমেরিকায় অল্প বয়সী নারীর মধ্যে পরীক্ষাটি চালানো হয়। সারা বিশ্বে যত নারী এই ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তার পাঁচভাগের একভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছর। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির আশপাশের দেশে প্রতিদিন এক হাজারের মতো নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরীক্ষায় মেয়েরা তাদের যোনিতে প্লাস্টিকের তৈরি নমনীয় একটি রিং ব্যবহার করেছে যা তাদের এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করেছে। রিংটির সঙ্গে মেশানো থাকে এ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ এবং প্রত্যেক ছয় মাস পর পর এটা বদলাতে হয়। এই রিং বসানো হয় নারীর যোনির ওপর। রিংটির আকার বেশি বড় নয়। এই রিং থেকে এক মাস সময় ধরে নিঃসৃত হয় ডেপিভিরাইন। গবেষণায় দেখা গেছে, রিংটি ব্যবহার করে এইচআইভির সংক্রমণ ৫৬ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এর সাফল্যের ব্যাপারে পরীক্ষা শুরুর আগে খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না। কারণ, অল্পবয়সী মেয়েরা সাধারণত যৌন সম্পর্কের সময় এ ধরনের ডিভাইস পরতে উৎসাহী হয় না। কিন্তু যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে অত্যন্ত সক্রিয় এ রকম অল্পবয়সী নারীর কাছে এই রিং সরবরাহ করা হয়। এদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর ছিল। তারা ছয় মাস ধরে এটি ব্যবহার করেছেন। রিংটি তারা পছন্দও করেছেন। তাদের ৯৫ শতাংশ বলেছেন, রিংটি ব্যবহার করা খুব সহজ। আর ৭৪ শতাংশ বলছেন, এটি যে তারা পরে আছেন সেটি তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে বুঝতেও পারেননি। পরীক্ষাটি চালানোর আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল, পুরুষ যৌনসঙ্গীরা হয়ত এটি পছন্দ নাও করতে পারেন। কিন্তু দেখা গেছে, এটি তাদের আরো বেশি আনন্দ দিয়েছে। নারীরা যাতে এইচআইভির সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে তার জন্য একটি ডিভাইস আবিষ্কারের লক্ষ্যে পরিচালিত এক উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই রিং ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে পুরুষসঙ্গীরা কনডম ব্যবহার করছে কিনা এখন আর তার ওপর নারীদের নির্ভর করতে হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ড. এ্যান্থনি ফসি বলেছেন, নারীরা যদি নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং তাদের সেই সুযোগ দেয়া হয়, যেটা কিনা খুবই গোপনীয় এবং নির্ভরযোগ্য, সেটা তাদের সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি। তিনি বলেন যেসব সমাজে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নারীরা এখনও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক তারা এ রকম এক সংক্রমণের ব্যাপারে খুবই অসহায়। এই রিং গবেষণার সাফল্য সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত এইচআইভি সংক্রান্ত এক সম্মেলনে পাঠ করা হয়। যেসব বিজ্ঞানী গবেষণাটি চালিয়েছেন তারা বলছেন, নারীরা এই রিং ব্যবহার করেছেন এবং তারা সেটা পছন্দও করেছেন। এ কারণে তারা এই গবেষণা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা বলছেন, রিংটি মেয়েদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। -বিবিসি অবলম্বনে
×