ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তামণিকে ভিডিও কনফারেন্সে দেখলেন সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ জুলাই ২০১৭

মুক্তামণিকে ভিডিও কনফারেন্সে দেখলেন সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢামেক হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন মুক্তামণিকে ভিডিও কনফারেন্সে দেখলেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ২৫ জুলাই ঢামেকের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মুক্তামণির সার্বিক পরিস্থিতি জানান। সব শুনে প্রধানমন্ত্রী মুক্তামণিকে প্রয়োজনে বিদেশ নেয়ার নির্দেশনা দেন। সেদিনই ঢামেকের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মেইল করে মুক্তার বিষয়টি জানানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে মুক্তামণিকে দেখেন সেখানকার ডাক্তাররা। বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ডাঃ সামন্ত লাল সেন এ বিষয়ে জনকণ্ঠকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা মুক্তামণিকে দেখেন। যে রিপোর্টগুলো করানো হয়েছে, তাও দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত মেডিক্যাল বোর্ড মুক্তামণিকে নিয়ে যত পরীক্ষা করে তার রোগ চিহ্নিত করেছে, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাই বলেছেন। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তাদের মতে, রোগীর যে শারীরিক অবস্থা তাতে ধীরগতিতেই চিকিৎসা করতে হবে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা নিজেরা আলোচনা করে জানাবেন কখন কী করা যায়, পরবর্তী কী চিকিৎসা, কখন তারা নিতে পারবেন। গত ১১ জুলাই মুক্তামণিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। মুক্তামণি লিমফ্যাটিক ম্যালফর্মেশন রোগে আক্রান্ত। তার ডান হাতটি একটি গাছের বাকলের সদৃশ্য; যা দিন দিন তার শরীরের চেয়ে ভারি হয়ে উঠছে। হাতে যন্ত্রণা হয়, চুলকায়। হাতের ভারে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। অন্যের সহযোগিতা নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মুক্তামণি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারপাশা গ্রামের মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুনের সন্তান। বর্তমানে ঢামেকে তার সঙ্গে বাবা-মা, যমজ বোন হীরামণি ও ছোট ভাই আছে।
×