ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিটের পর উচ্চাভিলাষী বাণিজ্য চুক্তি করতে ইচ্ছুক ব্রিটেন

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৮ জুলাই ২০১৭

ব্রেক্সিটের পর উচ্চাভিলাষী বাণিজ্য চুক্তি করতে ইচ্ছুক ব্রিটেন

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অস্থিরতার মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যের জন্য প্রারম্ভিক কাজ ব্যস্ততার সঙ্গে শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ না করা পর্যন্ত দেশটি বাণিজ্যের বিষয়ে সাময়িকভাবে কেবল বিকল্প নিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারে। খবর এএফপির। কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সরকার ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ের জন্য উচ্চাভিলাষী চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সপ্তাহে ব্রিটেনের সঙ্গে বেশ বড় একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ভবিষ্যত খুঁজে দেখছেন। বিষয়টা ব্রাসেলসে বিস্ময় ও সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। এখানে গত মাসে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু হওয়ার পর তার সূচনা পর্ব চলছে কেবল। ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স মেক্সিকো রওনা দেয়ার আগে শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনার জন্য তার মার্কিন প্রতিপক্ষ রবার্ট লাইট হিজাবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ওই উদ্যোগের বিষয়টি ব্যক্ত করেন। ফ্রান্স ও জার্মানির মিলিত রফতানি বাজারের চেয়ে ব্রিটেনের জন্য বড় জাতীয় রফতানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটি ব্রিটিশ বিনিয়োগের জন্য এক নম্বর দেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে সফরে রয়েছেন এবং গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যাত্রা বিরতি করেছেন। তিনি এর মধ্যেই জাপানের সঙ্গে ব্যবসার জন্য সমর্থন লাভের চেষ্টা করেছেন। জনসন বলেছেন, লন্ডনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে প্রথম দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। সাসেক্স ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক জিম রলো বলেছেন, সরকার স্থানীয় দলীয় রাজনীতির কারণে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি দেখাতে উদগ্রীব। তিনি এএফপিকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রক্ষণশীল দলীয় ব্যবস্থাপনার কারণে তাদের আভাস দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে যে, ব্রাসেলসে এ পর্যন্ত ব্রেক্সিট আলোচনায় অগ্রগতির অভাব সত্ত্বেও ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগের আগে আইনগত দিক থেকে কোন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে না। ইউরোপীয় কমিশন নাগরিক অধিকার ও ব্রিটেনের এক্সিট বিলসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধান করতে চায় যাতে করে ইইউয়ের সঙ্গে অক্টোবরে একটি ভবিষ্যত চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়।
×