ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডুবে গেছে ফসলি জমি ॥ মৎস্য ঘের

ভবদহে ১২০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৮ জুলাই ২০১৭

ভবদহে ১২০ গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার (ভবদহ অঞ্চল) বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ১২০ গ্রামের অন্তত ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ৭শ’ হেক্টর ফসলি জমি, ৯শ’ হেক্টর মৎস্য খামার প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২শ’ গাছপালা ও ৩৭৪ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দিন দিন পানিবন্দী এলাকার পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা। ভবদহ অঞ্চলের নদী খালের পলি অপসারণে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু না হওয়ায় এবারও টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। চরম দুর্ভোগের শিকার মানুষ। ক্ষেতের ফসল, ঘের, পুকুরের মাছ, বাড়িঘর হারিয়ে দিশেহারা মানুষ। রাস্তার পাশে আশ্রয় নেয়া মানুষের দুর্দিনের শেষ নেই। পানি অপসারণ না হওয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানায়, যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার ২২ ইউনিয়নের ১২০ গ্রামের ৪৫ হাজার ৫২৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মনিরামপুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের ৫৫ গ্রামের ৩ হাজার ৯০৫ পরিবারের ১৯ হাজার ৫২৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে এই উপজেলায় কোন ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অভয়নগর উপজেলার পৌরসভাসহ ৫ ইউনিয়নে ৩০ গ্রামের ২ হাজার ৭৫০টি পরিবারের ১১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কেশবপুর উপজেলার ৬ পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়নের ৩৫ গ্রামের ৫ হাজার ৫০০ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১টি। এই উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৫ মেট্রিক টন ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তিন উপজেলায় ৭শ’ হেক্টর ফসলি জমি ও ৯শ’ হেক্টর মৎস্য খামার প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ২০ কিলোমিটার কাঁচা পাকা রাস্তা, ৩৭৪টি কাঁচা পাকা বাড়িঘর, ২শ’ গাছপালা, ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
×