ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এফবিসিসিআই ও আইডিইবি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৮ জুলাই ২০১৭

এফবিসিসিআই ও আইডিইবি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষি প্রকৌশল, বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবাখাত এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তির সব স্তরে আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টি, অপ্রচলিত খাতে উদ্যোক্তা তৈরি, চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। গত বুধবার আইডিইবি ভবনে এক অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ও আইডিইবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব শামসুর রহমান স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারকের আলোকে এফবিসিসিআই ও আইডিইবি কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর প্রশিক্ষণ এবং শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও যোগাযোগ খাতে একে অপরকে সহায়তা করবে। এছাড়াও উভয় প্রতিষ্ঠান শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়নে তথ্য বিনিময়, সমীক্ষা পরিচালনা ও গবেষণা চালাবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে স্কিলস ফর দ্য ফিউচার ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক এ্যান্ড টিভিইটি ফর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এ সম্মেলনের কো-পার্টনার। দাদনের চড়া সুদে বিপর্যস্ত অলঙ্কার তৈরির কারিগররা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তামা, রূপা ও পিতলের অলংকারের জন্য বিখ্যাত ঢাকার সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়ন। এখানকার কয়েকটি গ্রামে অলংকার তৈরির কাজ করেন প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ। তবে প্রায় চার দশক আগে গড়ে ওঠা এই অলংকার পল্লী এখন অনেকটাই বিবর্ণ। দাদন আর উচ্চ সুদ হারে বিপর্যন্ত পল্লীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। মহাজনদের হাতে মারধরের পাশাপাশি জেলও খাটতে হয়েছে অনেককে। অত্যাচার সইতে না পেরে কেউ কেউ ছেড়েছেন বাপ-দাদার ভিটা। পূব আকাশে সকালের সূর্যের সাথে জেগে ওঠে ভাকুর্তার অলংকার পল্লীও। খুটখাট শব্দে একটানা কাজ করে যান কারিগররা। তাদের হাতের ছোঁয়ায় নজরকাড়া রূপ পাচ্ছে তামা, রূপা কিংবা পিতলের গয়না। বাহারি নক্সা আর কারুকাজের এ সব অলংকারের কদর পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। অন্যের সুখের-আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করলেও পল্লীর হাজারো কারিগরের জীবনের রং অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। ঋণ জটিলতার পাশাপাশি নেই সরকারী তেমন কোন পৃষ্ঠপোষকতা। তাই বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে অনেকেই পড়েছেন দাদন-মহাজনদের চড়া সুদের খপ্পরে। এই মহাজনদেরই একজন দারোগালী। গেল ৫ বছরে যার হাতে মার খেয়েছেন মোতালেব চকিদার, জাহিদ, নিরঞ্জন কুমার, হনু চন্দ্র দাসসহ অন্তত ৫০ জন। জেলও খাটতে হয়েছে কয়েকজনকে। কেউ কেউ হয়েছেন এলাকা ছাড়া। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দারোগালী।
×