ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাকের দাম বাড়াতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৮ জুলাই ২০১৭

পোশাকের দাম বাড়াতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত ক্রেতাদের প্রতি পোশাকের দাম বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে তৃতীয় ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়লগ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডায়লগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সুভাশিষ বসু, বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুনসহ ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর বিদেশী ক্রেতা পোশাকের দাম বাড়ায়নি বরং কমিয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক কারখানাগুলোকে গ্রিন কারখানায় পরিণত করতে অনেক বিনিয়োগ করেছেন উদ্যোক্তারা। তাই আজকের ডায়লগে ইইউভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের দেশের ক্রেতার তৈরি পোশাকের দাম বাড়ায়। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তার মান উন্নয়নে গঠিত মার্কিন ক্রেতা জোট এ্যালায়েন্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতা জোট এ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। তবে তারা তাদের কার্যক্রম ২০২১ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। তবে এখনও তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। ২০১৮ সালে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ইইউভুক্ত উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। যৌথভাবে বিনিয়োগে গেলে আগে নিয়ম ছিল বাংলাদেশের অংশ থাকবে ৬০ শতাংশ এবং তাদের অংশ ৪০ শতাংশ। এখন সেটা বাড়িয়ে তাদের জন্য ৪৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জন্য ৫১ শতাংশ করা হয়েছে। পোশাক রফতানি করে আয় ২ হাজার ৮১৪ কোটি ডলার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৮১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ লাখ ২৭ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। যা এই সময়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। তবে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে এই খাতের পণ্য রফতানি আয় শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। চলতি জুলাই মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়। ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রফকানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলোচ্য খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ কম। তবে এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য খাতের রফতানি আয় ৩ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়েছে।
×