ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোল কাস্টম হাউস

চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৮ জুলাই ২০১৭

চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি ও দেড়শ’ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে। সব মিলিয়ে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয় এই বন্দর দিয়ে। অথচ চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে কাস্টমের কার্যক্রম। মোট ৩৪০ জন জনবলের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ১৫৮ জন। খালি পদ আছে ১৮৩টি। এর মধ্যে দু’টি অতিরিক্ত কমিশনারের পদ খালি রয়েছে। চাহিদার তুলনায় লোকবল কম থাকায় একজন কর্মকর্তাকে দ্বিগুণ কাজ করতে হচ্ছে। এতে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। আমদানিকারকরা কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক সময় তারা হয়রানির শিকারও হচ্ছেন। কাস্টমের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। কাস্টম অফিস সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল কাস্টম হাউসে মোট জনবলের চাহিদা রয়েছে ৩৪০ জন। যার মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৫৮ জন। সহকারী কমিশনারের ১১টি এবং পরিদর্শক পদে ৪৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে করে আমদানি রফতানি কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, জনবল ঘাটতির কারণে পণ্য ছাড় করতে আমাদের দেরি হচ্ছে। একজন কর্মকর্তাকে ৩-৪ জনের কাজ করতে হচ্ছে। যে কারণে আমদানিকারকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যশোরের একজন মোটরপার্টস আমদানিকারক জানান, তিনি পণ্য আনলে কাস্টম কর্মকর্তাদের পেছনে ধরনা দিতে হয়। নানা অজুহাতে তারা সময় ক্ষেপণ করেন। আবার টাকা দিলে কাজ দ্রুত করেন। যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, দেশের বড় স্থলবন্দর হওয়ার কারণে বেনাপোলে কাজের চাপ বেশি। কেননা বেশিরভাগ পণ্য আমদানি হয়ে থাকে এই বন্দর দিয়ে। তাই কাস্টমের জনবল ঘাটতি কাম্য নয়। জনবল কম থাকলে ব্যবসায়ীরা পণ্য ছাড়করণে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমের কমিশনার মোঃ শওকাত হোসেন জানান, জনবল ঘাটতিতে আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। একজন কর্মকর্তা দিনে ২০টি কন্সারমেন্ট চেক করার কথা। অথচ তারা এখন করছেন ৫টি। যেকারণে পণ্য ছাড়করণে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বর্তমানে যারা আছেন তারা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। জনবল ঘাটতির বিষয়টি আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এটি পূরণ হলে আমদানি রফতানি কাজে আরও গতি বাড়বে বলে তিনি মত দেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস অনুষ্ঠিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উদ্যোগে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ অতিথি ছিলেন ড. অরূপরতন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে দেশব্যাপী সক্রিয় ভূমিকা রাখায় এবং আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে মানববন্ধনের সফল কর্মসূচীর জন্য পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। -বিজ্ঞপ্তি
×