ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীপুরে যুবকের দুচোখ খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলার চেষ্টা!

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৭ জুলাই ২০১৭

শ্রীপুরে যুবকের দুচোখ খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলার চেষ্টা!

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ জেলার শ্রীপুরে এক যুবকের দুই চোখ খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলার টেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার মা ও দুই খালু এর সঙ্গে জড়িত। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর নিচে প্রাচীরের ভেতর ফেলে রাখা হয়। বুধবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহত ওই যুবকের নাম আমজাদ হোসেন (৩৫)। সে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আন্দারপাড় গ্রামের মৃত শাহাদাত হোসেনের ছেলে। ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিহাদ হোসেন জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে প্রাচীর ঘেরা জায়গায় বুধবার দুচোখে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পায় এলাকাবাসী ও হাইওয়ে পুলিশ। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তাকে আহত যুবক আমজাদ জানায়, শ্রীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাস করে আমজাদ হোসেন। সে স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় চাকরি করে। মঙ্গলবার রাতে তার মা নাসিমা বেগম ও স্বপনসহ দুই খালু খুঁচিয়ে তার দুচোখ উঠানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে সে আর চোখে দেখতে পারে না। পরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে ওই রাতে তার মাসহ দুই খালু তাকে এখানে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু কি কারণে তার চোখে আঘাত করা হয়েছে সে ব্যাপারে যুবকটি কিছু বলছে না বা বলতে পারছে না। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হুজ্জাতুল ইসলাম পলাশ জানান, যুবকটির দুই চোখে যথেষ্ট খোঁচানো এবং আঘাত করা হয়েছে। আলামত দেখে বোঝা গেছে, তার দুটি চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে শ্রীপুর মডেল থানার এসআই হাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৪৪০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছে। কি কারণে এবং কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার গ্রামের বাড়িতে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
×