ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বৃহত্তর চট্টগ্রামে টানা ভারি বর্ষণ থেমেছে, পানি নামছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৭ জুলাই ২০১৭

বৃহত্তর চট্টগ্রামে টানা ভারি বর্ষণ থেমেছে, পানি নামছে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রায় এক সপ্তাহের টানা বর্ষণের পর বুধবার দিনটি ছিল বৃষ্টিহীন। পানি নামতে শুরু করেছে নগরী এবং চট্টগ্রামসহ ৫ জেলার নিচু এলাকাগুলো থেকে। ডুবে থাকা সড়কগুলো জেগে উঠছে। জনজীবনেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু আকাশে এখনও মেঘের আনাগোনা থাকায় শঙ্কা কাটছে না। তবে সৃষ্ট লঘুচাপটির প্রভাব রয়ে গেলেও সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য বহাল থাকা ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত নামিয়ে নিতে বলেছে আবহাওয়া দফতর। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদগণ। এদিকে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটায় চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গর কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। চলছে বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং। সার্বিক পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পণ্য পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন ভারতের ঝাড়খ- এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। তবে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত রয়েছে ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অসম পর্যন্ত। বর্ধিতাংশের বিস্তৃৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। ফলে বাংলাদেশের সীমানা থেকে দূরবর্তী হলেও বৃষ্টির আশঙ্কা এখনও দূর হয়নি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ দেশের উপকূলীয় অনেক এলাকায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ। তবে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় সমুদ্রবন্দরসমূহকে সঙ্কেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রায় এক সপ্তাহ পর বুধবার দিনটি ছিল অনেকটাই স্বস্তিকর। সকালে কিছু মেঘ দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হতে থাকে। সূর্যের দেখা মেলে। অব্যাহত বর্ষণের পর মেঘমুক্ত আকাশ এবং রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ ভোগান্তি কমিয়েছে। এদিন সড়কে যানবাহন ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। কারণ, সড়কগুলো পানির নিচ থেকে জেগে উঠেছে। সরকারী-বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে। তবে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, ছোটপুল ও হালিশহরসহ কয়েকটি এলাকায় এখনও সড়কে পানি রয়ে গেছে। বৃষ্টিহীনতা বিরাজ করলে একদিনের মধ্যেই জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রায় সপ্তাহ খানেক থমকে থাকার পর বুধবার সচল হয়েছে বন্দর বহির্নোঙ্গর। লাইটার জাহাজগুলো চলাচল করছে আউটার অভিমুখে এবং অভ্যন্তরীণ জলপথে। মাদার ভেসেল থেকে পণ্য ওঠানামা হয়েছে। তবে বাতাসের তীব্রতা থাকায় সাগর এখনও উত্তাল রয়েছে। উঁচু ঢেউয়ের কারণে ছোট জাহাজগুলো এখনও বিপদমুক্ত নয়। ফলে চলাচল করতে হচ্ছে বেশ সতর্কতার সঙ্গে।
×