ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুমেল খান

জাতীয় সামার এ্যাথলেটিক্স-প্রাসঙ্গিক কিছু কথা!

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ২৬ জুলাই ২০১৭

জাতীয় সামার এ্যাথলেটিক্স-প্রাসঙ্গিক  কিছু কথা!

দ্রুততম মানবী হলেন শিরিন অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে, খুব ভাল লাগছে া আমি নৌবাহিনীর এ্যাথলেট হলেও কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফি স্যারের কাছে বিকেএসপিতেই ট্রেনিং করেছি এই প্রতিযোগিতার জন্য া এভাবে যদি ট্রেনিংটা আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমার টাইমিংয়ের আরও উন্নতি হবে এসএ গেমসের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে চাই, সেখানে আমার লক্ষ্য স্বর্ণপদক জেতা শেষ হয়ে গেল গ্রীষ্মকালীন এ্যাথলেটিক্সের ত্রয়োদশ আসর। নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত ছিল এবারের আসরটি। যেমন : ডিজিটাল যুগে এনালগ স্টাইলে অনুষ্ঠিত হয় এই আসর। দৌড় ইভেন্টগুলোতে পিস্তল নয়, ব্যবহার করা হয় কাঠের স্টার্টার! কার্যনির্বাহী কমিটি বর্তমান এ্যাডহক কমিটিকে সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেয়ায় তৈরি হয় জটিলতা। কেবল পিস্তল নয়, ফেডারেশনের চেকবইসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফেডারেশন থেকে বিষয়টি এখন পৌঁছেছে পুলিশের কাছেও। দুই বছর বাদে আবারও অনুষ্ঠিত হয় আসরটি। এই প্রথম পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে কোন এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ফেডারেশন। তবে সেই পোস্টার নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। পোস্টারে ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশী নারী-পুরুষ এ্যাথলেটদের ছবি। এছাড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ছিল না কোনো অর্থ পুরস্কার। এ ব্যাপারে ফেডারেশন ‘সাধ আছে, সাধ্য নেই’ বলে দায়িত্ব সেরেছে। যা হোক, দু’দিনের আসরে পুরুষ ও মহিলা গ্রুপে ৩৬ ইভেন্টে পদকের লড়াই হয়। বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের এ্যাফিলিয়েটেড সব জেলা, বিভাগ, শিক্ষাবোর্ড, সার্ভিসেস দল মিলিয়ে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অংশ নেয় ৫০০ প্রতিযোগী। দেশে বিভিন্ন জেলায় বন্যা থাকায় অনেক জেলা থেকে এবার এ্যাথলেট আসেনি। তাই প্রতিযোগী এবার একটু কম। তাই ফেডারেশন মনে করে এ সংখ্যা যথেষ্ট। এই প্রতিযোগিতা শুরুর আগে এবার নতুন কোন জাতীয় রেকর্ড হবে কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ফেডারেশরেশনের কোন কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত কোন আর রেকর্ড হয়নি। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৮ স্বর্ণ, ১৭ রৌপ্য ও ১৩ তাম্রসহ মোট ৪৮ পদক নিয়ে আসরসেরা হয়। রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ১২ স্বর্ণ, ১১ রৌপ্য ও ১০টি তাম্রসহ ৩৩ পদক নিয়ে। বাংলাদেশ জেল ৪ স্বর্ণ, ৩ রৌপ্য ও ৪টি তাম্রসহ মোট ১১টি পদক নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। শ্রেষ্ঠ এ্যাথলেট নির্বাচিত হন পুরুষ বিভাগে আল আমিন (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ১৫০০ মিটার এবং ৫০০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক এবং ৮০০ মিটার দৌড়ে তা¤্রপদক) এবং মহিলা বিভাগে সুমি আক্তার (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ৮০০, ১৫০০ এবং ৩০০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক এবং ৪০০ মিটার দৌড়ে রৌপ্যপদক)। টুর্নামেন্টের সেরা আকর্ষণ ছিল ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং ১১০ মিটার হার্ডলস। এদের নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। প্রথমেই ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। নারী বিভাগে স্বর্ণ জেতেন নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার। এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে মোট পাঁচবার (তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে, দুবার সামার চ্যাম্পিয়নশিপে) দ্রুততম মানবী হলেন শিরিন। জেতার পর তিনি অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে, ‘খুব ভাল লাগছে। আমি নৌবাহিনীর এ্যাথলেট হলেও কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফি স্যারের কাছে বিকেএসপিতেই ট্রেনিং করেছি এই প্রতিযোগিতার জন্য। এভাবে যদি ট্রেনিংটা আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমার টাইমিংয়ের আরও উন্নতি হবে।’ দেশে-বিদেশে সামনে যেসব মিট আছে, সেগুলোর সবগুলোতেই অংশ নিয়ে প্রথম হতে চান শিরিন এবং এসএ গেমসের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে চান, ‘এসএ গেমসে আমার লক্ষ্য স্বর্ণপদক জেতা।’ দৌড়ের সময় একটু বাতাস ছিল, তাই টাইমিংটা (১২.৩০ সেকেন্ড) তত ভাল হয়নি বলে দাবি করেন শিরিন, ‘তারপরও এই টাইমিং নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট। আমার সেরা টাইমিং হচ্ছে ১১.৯৯ সেকেন্ড (ইলেকট্রনিক টাইমিং) এবং ১১.৮৪ সেকেন্ড (হ্যান্ড টাইমিং)।’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাক অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ায় এই ট্র্যাকে দৌড়ে টাইমিংয়ের উন্নতি ঘটানো অসম্ভব বলে মনে করেন শিরিন। আগের দিন ২০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেননি শিরিন। এই ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন সোহাগী আক্তার। তিনি পরের দিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে জেতার ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন শিরিনকে। ব্যাপারটি শিরিন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে অবশ্যই এটা ভাল। আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। শুধু সোহাগীই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি জাকিয়া এবং সুস্মিতাকেও। ওরাও অনেক ভাল দৌড়ায়।’ প্রতিবারের মতো এবারও বলব অসম্ভবের কিছুই নেই। চেষ্টা-মনোবল থাকলে অবশ্যই এসএ গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জেতা সম্ভব বলে জানান শিরিন, ‘আমাকে পারতেই হবে- এমন আত্মবিশ্বস আমার আছে। বিকেএসপির ডিজি স্যারের কাছ থেকে আমি অনুমতি নিয়েছি এসএ গেমসের আগ পর্যন্ত বিকেএসপিতে কাফি স্যারের কাছে অনুশীলন করার। এটা যদি করতে পারি, তাহলে নিশ্চয়ই আমার স্বর্ণজয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।’ সাতক্ষীরার এল্লারচরের দোহা কোলা গ্রাম। এ গ্রামে বাস করেন ব্যবসায়ী শেখ আবদুল মজিদ। মাছের ঘের আছে। আছে প্রচুর ধানী জমির মাঠ। প্রচ- ধর্মপরায়ণ। স্ত্রী আঙ্গুরা বেগম। তাদের চার সন্তান। সবাই মেয়ে। তিন মেয়ে বাবার হুকুমে পর্দা করে চলে। বোরকা পরে বাইরে যায়। তবে দ্বিতীয় মেয়ে শিরিন আক্তার একটু ব্যতিক্রম। এ মেয়েটিই একসময় বাবা সাংঘাতিক রক্ষণশীল ও গোঁড়া মনোভাবের বাবাকে রাজি করিয়ে এ্যাথলেটিক ক্যারিয়ার শুরু করল। একসময় জাতীয় পর্যায়ে সফলও হলো। ততদিন বাবা তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন। এখন তিনি মেয়ের সাফল্যে গর্বিত। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ছেলেদের ইভেন্টে স্বর্ণ জেতেন নৌবাহিনীর আরেক স্প্রিন্টার মেজবাহ আহমেদ। সেই সুবাদে তিনি টানা ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন মোশাররফ হোসেন শামীমের ঘাড়ে। টানা সাতবার দ্রুততম মানব হওয়ার রেকর্ড আছে সাবেক এই স্প্রিন্টারের। জেতার পর মেজবাহ বলেন, ‘আমার খুব ভাল লাগছে যে আমি শামীম স্যারের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। যদি জিততে না পারতাম তাহলে আমার জন্য খুব দুঃখজনক ব্যাপার হতো। কেননা সামনেই আমি বিশ^ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাব। ওখানে যাওয়ার আগে আত্মবিশ^াস বাড়িয়ে নিতে এই জয়টা অনেক দরকার ছিল। যদিও এই টাইমিংয়ে সন্তুষ্ট নই। অবশ্য এই পুরনো ও ধীরগতির ট্র্যাকে দৌড়ে ভাল টাইমিং করা সম্ভব নয়।’ ভাল পারফরম্যান্সের জন্য আন্তর্জাতিক মানের অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই বলে জানান মেজবাহ। ‘ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ের অনুশীলনে যতটা উন্নতি হয়, হ্যান্ড টাইমিংয়ে ততটা নয়।’ জাতীয় মিটে তিনটি, সামারে দুটি এবং বাংলাদেশ গেমসে একবার দ্রুততম মানব হওয়া মেজবাহর প্রথম দ্রুততম মানব হওয়ার ক্ষণটি ছিল ২০১৩ বাংলাদেশ গেমসে। সামার এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী দিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে মহিলা বিভাগে স্বর্ণপদক করায়ত্ত করেন নৌবাহিনীর সোহাগী আক্তার। এই ইভেন্ট নিয়ে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। ন্যাশনাল মিটে একবার (২০১৬), আর সামার মিটে এবার। মজার ব্যাপার- ২০০ মিটারে জিতলেও এটা তার আসল ইভেন্ট নয়। তার আসল ইভেন্ট হচ্ছে ৪০০ মিটার! ২০১৪ সাল থেকেই এই ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে আসছেন তিনি। এছাড়া ১০০ মিটারে হেরে যান শিরিনের কাছে। হন দ্বিতীয়। সোহাগীর বয়স ২১। শেরপুরে নখলায় গ্রামের বাড়ি। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন ৪০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে। সেখান থেকে বিকেএসপির ট্রেনিং নিয়েছেন মাসখানেক। তারপর সেখান থেকে বিজেএমসিতে যোগ দেন। পড়াশোনা করছেন শেরপুরের চৌধুরী সদরুন্নেসা মহিলা ডিগ্রী কলেজে। বিজেএমসিতে চাকরির কারণে গ্রামের বাড়িতে যাবার খুব একটা সময়-সুযোগ পান না। সোহাগী বলেন, ‘এখানেই পড়াশোনাটা চালিয়ে নেই। পরীক্ষার সময় হলে শেরপুরে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসি।’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লক্ষ্য? ‘নিজের টাইমিংয়ের উন্নতি ঘটানো। তাহলে সাফ গেমসে নিশ্চয়ই কোন পদক জিততে পারব। তবে এজন্য ক্যাম্পে থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ-অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই।’ জবাব নাজমুন নাহার বিউটিকে আদর্শ স্প্রিন্টার মানা সোহাগীর। মা মোটামুটি উৎসাহ দিলেও বাবা-চাচা-ফুপুরা একটু রক্ষণশীল। এজন্য ক্যারিয়ারের শুরুতে একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছে সোহাগীকে। পরে ট্রাউজার্স পরে খেলার আশ^াস দিয়ে অনুমতি আদায় করে নেন দুই বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সোহাগী। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশ জেলের সাইফুল ইসলাম খান সানি। জেতার পরেই আবেগের আতিশয্যে ট্র্যাকের ওপর বসে সিজদা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করেন। আবেগের কারণÑ তিনি হারান এই ইভেন্টের হট ফেবারিট মেজবাহ আহমেদকে! ২১.৬০ সেকেন্ডে সবার আগে দৌড় শেষ করেন সাইফুল। স্বর্ণ জিতলেও এর পেছনে অন্য এক সাধনার গল্প শোনান সাইফুল, ‘এবার ডিগ্রী পরীক্ষা ছিল। এক মাসের মতো কাফি স্যার অনুশীলন করিয়েছেন।’ তার মূল ইভেন্ট ২০০ মিটার, ‘কোচ যদি ১০০ মিটারে দৌড়াতে বলেন, চেষ্টা করে দেখব। আমি বিশ্বাস করি, অনুশীলন করলে মেজবাহ ভাইকে হারানো সম্ভব।’ তারকা স্প্রিন্টার মেজবাহকে হারানোর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেজবাহ ভাই যতদিন ধরে সোনা জিতছেন, ততদিন আমি খেলার জগতেই আসিনি। এসেছি ২০১২ সালে।’ প্রথমবারের মতো সাইফুল বাংলাদেশ জেলের হয়ে চুক্তিতে খেলছেন। সবশেষে বলেন, ‘ফেডারেশন যদি ভুবনেশ্বরের মতো আবারও আমাদের ট্রেনিংয়ে পাঠায়, যেহেতু সাফ গেমসের এখনও দেড় বছর সময় আছে। এই সময়ে যেন তারা উঠতি এ্যাথলেটদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা করে, মানে সাফের ক্যাম্প যদি এখনই যারা ভাল টাইমিং করছে এবং উঠতি যারা, তাদের নিয়ে শুরু করে। বিদেশী কোচ আনলেও ভাল। দেশী কোচ ভাল। কিন্তু বিদেশি কোচ আসলে তারা যে রিকুয়ারমেন্ট করে, সেগুলো ফেডারেশন দেয়।’ মেয়েদের হার্ডলসে স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশ জেলের আরেক তারকা হার্ডলার সুমিতা রানী। গত আসরে অংশ নেননি ইনজুরির কারণে। ফিরেই স্বর্ণ জেতেন এবার। নিজের সেরা নৈপুণ্যের চেয়ে অনেক বেশি সময় নিলেও হতাশ নন তিনি, ‘এখনও পুরোপুরি ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এ অবস্থায় টাইমিং ভাল হওয়ার কথা নয়।’ ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে ১৩.৯৮ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন নোয়াখালী থেকে উঠে আসা এ হার্ডলার। অনেকেই কারা কর্তৃপক্ষের এ হার্ডলারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিলেও এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন ২০১০ এসএ গেমসে রূপাজয়ী সুুমিতা, ‘অনেকেই বলেন, আমি হারিয়ে গেছি। কিন্তু উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে এখনও নিজের সেরাটা অতিক্রম করা সম্ভব। ঢাকা এসএ গেমসের আগে ১৩ মাস প্রশিক্ষণ হয়েছে। আবার উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে এসএ গেমসে স্বর্ণপদক পাওয়া সম্ভব।’ ২০০৯ সালে ৭.৬১ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়লেও আল-আমীনকে অনেকদিন চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। এবার ৭.৩৬ মিটার লাফিয়ে নতুন করে আশা জাগান নৌবাহিনীর এই লং জাম্পার, ‘আমি এখনও নিজের সেরাটা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আশাবাদী। আশা করছি, পরবর্তী আসরে আরও ভাল করব।’
×