ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিতে অবৈধ বস্তিবাসী

চট্টগ্রামে টাইগারপাসে দুটি পাহাড় ধসে যেতে পারে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৬ জুলাই ২০১৭

চট্টগ্রামে টাইগারপাসে দুটি পাহাড় ধসে যেতে পারে

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে অতিবৃষ্টির কারণে আরও অনেক ছোট-বড় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে। এ ধসে নগরীর টাইগারপাস মোড়সংলগ্ন রেলের পাহাড়ের মাটিসহ গাছ ধসে হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। টাইগারপাস থেকে লালখান বাজারমুখী রাস্তার ডানদিকে রয়েছে রেলের টাইগারপাস পাহাড় ও রাস্তার বাঁয়ে রয়েছে রেইনবো সিএনজি ফিলিং স্টেশনসংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের পাহাড়। ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের পাহাড়টির কিছু অংশ ধসে পড়ে পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কারণ পাহাড়ের মাটি ধসে ফুটপাথে চলে এলেও ধস বন্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামে পাহাড়ের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা কাঁচা-পাকা ঘর না ছেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দখল বাণিজ্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দখল বাণিজ্যের বিপরীতে প্রশাসন বিভিন্ন সময় সতর্কতা অবলম্বন করলেও নেপথ্যে থাকারা মানছে না। প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে সরাতে চাইলেও পারছে না অবৈধভাবে গেড়ে বসাদের হুমকির কারণে। প্রশাসন যখনই তাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয় তখনই চাপাচাপি শুরু করে অবৈধ ঘরের মালিক ও কেয়ারটেকাররা। হুমকির বাক্য একটাই- ‘যারা ঘর ছেড়ে যাবে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।’ এমন বাক্য শুনিয়েছে সোমবার নগরীর মতিঝর্ণা ও বাটালী হিল এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা পরিবারগুলো। এ বিষয়ে রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত রেজা জনকণ্ঠকে জানান, সোমবারও টাইগারপাস, মতিঝর্ণা, লালখান বাজার, আকবরশাহ, বেলতলীঘোনা ও বাটালী পাহাড় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকাদের সরে যেতে। তাৎক্ষণিক কিছু পরিবার সরে গেলেও রাতের আঁধারে আবারও তারা ফিরে এসেছে। এদের সরাতে হলে অভিযানের কোন বিকল্প নেই। টাইগার পাস-লালখান বাজার সড়কের ওই পাহাড়ের পাদদেশে থাকাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা সরে যাচ্ছে না।
×