ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যোগ ব্যায়াম করুন ওজন ঠিক রাখুন

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৫ জুলাই ২০১৭

যোগ ব্যায়াম করুন ওজন ঠিক রাখুন

যোগাসন মন ও শরীরের টনিক। আপনার ওজন কমাতেও কিন্তু যোগ ব্যায়ামের কথা ভাবতে পারেন। সিলেটের ফ্রেড হাসিনসন রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা তো তাই বলেন, তারা ৩০০ জনের ওপর গবেষণা চালান, যারা বিভিন্ন ব্যায়ামাগারে, যোগ ব্যায়ামাগারে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম সাধনা করেন। দেখা যায় যোগীরাই অন্যান্য শরীর চর্চার সাধকদের চেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করছে বেশি। কারণ মনের ওপর তাদের কন্ট্রোলের জন্য তারা অবগত থাকেন কখন আধপেটা খেতে হবে, কখন ভরা পেট খেতে হবে, কখনওবা অতিরিক্ত স্ট্রেসে কিভাবে খাদ্য গ্রহণ, ক্যালরি খরচের মধ্যে সমতা আনতে হবে। মধ্যরাতের স্ন্যাকস আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয় গবেষকরা সব সময় বলে আসছে ওজন বাড়া হলো ক্যালোরি গ্রহণ ও ক্যালোরি খরচের বিয়োগ ফল। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা যায় ক্যালোরি জন্মে বেশি যদি ইঁদুর ঘুমের সময় খাদ্য গ্রহণ করে। নর্থওয়েস্ট ভার্সিটির গবেষকরা ইঁদুরকে দিনের বেলায় প্রচুর খাইয়েছিল। দিনের বেলায় ইঁদুর স্বভাবত গর্তে ঘুমায়। আর এক ইঁদুর দলকে রাতে খাওয়াল। রাতে স্বভাবত তারা খুব সচল থাকে। দেখা গেল, দুই পক্ষকে যদিও একই পরিমাণ খাওয়ানো হলো এবং একই রকম শরীর চর্চা রেকর্ড করা হলো কিন্তু ওজন রাতের গ্রুপের তুলনায় দুপুরের গ্রুপের প্রায় ২গুণ বাড়ল। এটা মানুষের ক্ষেত্রে সত্যি। রাত্রিকালীন ঘুমের সময় স্নাক্স আমাদের ওজনকে যথেষ্ট বাড়িয়ে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হলো ১২ সপ্তাহ ধরে (পর পর নাও হতে পারে) এক বছর সময় মলত্যাগ বাধাপ্রাপ্ত হওয়াকে বোঝায়। যদি নিচের দুটি লক্ষণ থাকে তবে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যাবেÑ ০ যদি মলত্যাগের সময় জোর দিয়ে মলত্যাগ করা হয় এবং সময় বেশি লাগে (২৫ শতাংশের বেশি সময় যদি তাই ঘটে)। ০ অসমাপ্ত মলত্যাগের অনুভূতি যদি থাকে। ০ মলত্যাগের পথে যদি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার অনুভূতি থাকে। ০ যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করা হয়। চিকিৎসা ০ রোগীকে নিশ্চিন্ত করা। ০ নরমাল মলত্যাগে অনুপ্রাণিত করা। ০ লো-কমোটে হাঁটুগেড়ে বসা। ০ প্রতিদিন একই সময় মলত্যাগ করা অর্থাৎ সকালে ও খাওয়ার পরপরই। ০ পানি বেশি খাওয়া। ০ আঁশ জাতীয় খাদ্য বেশি করে খাওয়া। ০ শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া। ০ রীতিমতো ব্যায়াম করা। ০ মল নরম রাখার ওষুধ ল্যাকটোলজ বা ম্যাগফিন জাতীয় ওষুধ প্রতিদিন দুই বার সেবন করা। আঁশ জাতীয় খাদ্য পাতাকপি পাতাকপিতে ৪ গ্রাম প্রতি কাপে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৬ কাপ। মটরশুঁটি ৮ গ্রাম প্রতিকাপে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৩ কাপ। গাজর ৫ গ্রাম প্রতি কাপে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৫ কাপ প্রতিদিন। কলা ৩ গ্রাম প্রতি কলায়, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৮টি কলা প্রতিদিন। আপেল ৪ গ্রাম প্রতি খ- আপেলে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৬ খ- আপেল প্রতিদিন।
×