স্টাফ রিপোর্টার ॥ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় আবারও তৈরি হয়েছে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ। দেশের ওপর অধিক সক্রিয় মৌসুমিবায়ুও। এছাড়া ভারতের পশ্চিমে রাজস্থানেও অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণেই দেশজুড়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাজস্থানের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণেও লঘুচাপটি স্বাভাবিক গতিতে সরতে পারছে না। তারা বলেন লঘুচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হলে এবং স্বাভাবিক গতিতে সরতে না পারলে দেশের বিভিন্নস্থানে আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবারও সারাদেশে ভারি বৃষ্টিপাত হবে। বুধবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এদিকে লঘুচাপ ও এবং মৌসুুমিবায়ুর প্রভাবে সোমবার সারাদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজধানীতে। সারাদিনই আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। কখনও মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত। সোমবারের বৃষ্টিপাতে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা রাজধানীতে দেখা না গেলেও জনগণের ভোগান্তি কম ছিল না। সকাল থেকে অফিসগামীরা ভোগান্তি মাথায় নিয়ে অফিসে রওনা হয়। সারাদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চলতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। অনেককে বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হতে দেখা গেছে। কষ্ট সয়েই তাদের অফিস থেকে বাসায় ফিরতে হয়েছে।
আবাহওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমীবায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমীবায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। ফলে আজ মঙ্গলবারও রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দম্কা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছেÑ সক্রিয় মৌসুমিবায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যে আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
