ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হালদা নদীর বেড়িবাঁধ অরক্ষিত

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৫ জুলাই ২০১৭

হালদা নদীর বেড়িবাঁধ অরক্ষিত

নিজস্ব সংবাদদাতা ফটিকছড়ি থেকে জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে অবিরাম বর্ষণে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে হালদা নদীর পানি বিপদসীমায় উঠানামা করার কারণে ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী গ্রাস করছে বিস্তীর্ণ এলাকা এবং রাস্তাঘাট। স্বাধীনতার পর থেকে বিক্ষিপ্ত অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও গ্রাস কিন্তু থেমেনি। বছরের পর পর বছর ধরে কয়েক হাজার বসতঘর হালদায় গ্রাস করে নিয়েছে। শত শত পরিবার পুনর্বাসিত হয়েছে নিকটস্থ এলাকায় কিংবা পাহাড়ী ভূমিতে। মূলত বৃহত্তর ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান (আংশিক) উপজেলার ওপর দিয়ে এ নদী প্রবাহিত হলেও প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে এ নদীর ‘নদী প্রশাসনে’ কোন অগ্রগতি হয়নি। ফলে এ তিন উপজেলায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এখনও পাহাড়ী ঢল অব্যাহত থাকায় এবং হালদাসহ আরও কয়েকটি পাহাড়ী ছড়ার পানি নিচের দিকে নেমে আসায় তিন উপজেলার ভাটি এলাকায় বন্যা দেখা দিলেও ক্ষতির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ জনপদগুলো ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হওয়াতে এখনও ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। এদিকে হালদাসহ বিভিন্ন খালের বেড়িবাঁধ সাম্প্রতিক আরও দু’দফা বন্যায় ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হলেও এসব ভাঙ্গন তৃতীয়বারের বন্যায় ফের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ অবকাঠামো বারে বারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুবে গেছে শত শত হেক্টর জমির রোপা আমন এবং বীজতলা। অপরদিকে হালদার ব্যাপক ভাঙ্গনে ফটিকছড়ির ২১ গ্রাম এবং হাটহাজারীর ৩৬ গ্রামে বসত ভিটে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির, নাজিরহাট-রামগড় সড়কসহ অগণিত গ্রামীণ রাস্তা নদীতে গ্রাস হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরীভিত্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙ্গনের তীব্রতা আরও বাড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছেন বিভিন্ন এলাকার জনগণ।
×