ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৫ জুলাই ২০১৭

বাগেরহাটে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি

বাবুল সরদার, বাগেরহাট ॥ প্রবল বর্ষণ এবং নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে উপকূলীয় বাগেরহাট জেলার কমপক্ষে দেড়শ’ গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার ১২টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। আবার অনেক জায়গায় বাঁধ উপচে তীব্র স্রোতে পানি ঢুকছে। জেলা চিতলমারী, রামপাল, কচুয়া, মংলা, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও বাগেরহাট সদর উপজেলার তিন হাজারের অধিক পুকুর ও চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। এতে অন্তত ৫শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য দফতর ও চাষীদের সূত্রে জানা গেছে। মৎস্য চাষীরা হাপিত্যেশ করছেন। বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ পৌরসভাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এসব স্থানে সরকারী-বেসরকারী অফিস, রাস্তা-ঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-মাদ্রাসা, বাড়ি-ঘর, বীজতলা, পানবরজ ও ফসলের ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের রাস্তায়ও জমেছে পানি। অনেক পরিবারের রান্না-বান্না বন্ধ হয়ে গেছে। বসতঘরে পানি উঠে ফ্রিজ-টিভিসহ দামী আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। গত দু’দিনের শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছ-পালা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে এবং লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে অনেক স্থানে। ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে স্কুলছাত্রী আরবী আক্তার, বিথি আক্তার, চিংড়ি চাষী দেবাশিষ বিশ্বাসসহ ৪ জন আহত হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে। এসব এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সøুইজ গেটগুলো দিয়ে ঠিকমতো পানি ওঠা-নামা না করা, সরকারী খালগুলো ভরাট ও দখল হওয়া এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। ফলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এদিকে জেলার প্রতিটি নদ-নদীতে তীব্র স্রোত ও অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে। বলেশ্বর, পানগুছি, চিত্রা, ভৈরব, মধুমতি নদীর ভাঙ্গন বেড়েছে। প্রবল বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে জেলার কমপক্ষে ১২টি স্থানে বেড়িবাঁধ ও সড়কে ধস-ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
×