ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাস্ত্রীদের সঙ্গে নেই রাহুল দ্রাবিড়

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৪ জুলাই ২০১৭

শাস্ত্রীদের সঙ্গে নেই রাহুল দ্রাবিড়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীর স্টাফে জহির খান (বোলিং কোচ) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (বিদেশে ব্যাটিং পরামর্শক) নাম সুপারিশ করে শচীন টেন্ডুলকর-সৌরভ গাঙ্গুলী-ভিভিএএস লক্ষণদের নিয়ে গড়া বাছাই কমিটি। ইন্ডিয়ান বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফ থেকে সেটি এক প্রকার ঘোষণাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শাস্ত্রীর চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে জহিরের পরিবর্তে ভরত অরুণকে নিয়োগ দেয়া হয়, ব্যাটিংয়ে সঞ্জয় বাঙ্গার। নাটকের রেশ না ফুরোতে এবার নতুন বিতর্ক, দারুণ মার্জিত ইমেজের অধিকারী রাহুল শাস্ত্রীদের সঙ্গে কাজ করছেন না। রবিবার দেশটির সুপ্রীমকোর্ট নিয়োজিত এ্যাডমিনিস্ট্রেটের (সিওএ) পক্ষ থেকে এমনটা জানানো হয়, অবশ্য কারণ হিসেবে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী সব সংবাদ মাধ্যমের খবর, কোচ নিয়োগ নিয়ে বোর্ডের অনাকাক্সিক্ষত কর্মকা- ও শাস্ত্রীর বক্তব্যে অপমানিত রাহুল নিজেই এখন জাতীয় স্টাফের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন না। ভারতের সুপ্রীমকোর্ট নিয়োজিত কমিটি অব এ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই বলেন, ‘রাহুলের সঙ্গে অনুর্ধ-১৯ ও ভারত ‘এ’ দলের দুই বছরের চুক্তি। সে আমাদের জানিয়েছে এই অবস্থায় জাতীয় দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে যেতে পারবে না।’ আগামী বছর অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ, ‘এ’ দলের অনেকগুলো সিরিজ। রাহুল খুব বেশি হলে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় এ্যাকাডেমিতে বিরাট কোহলিদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। তাও যদি প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী চান তবেই। শোনা গিয়েছিল চলমান শ্রীলঙ্কা সফরে না হলেও পরবর্তী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জাতীয় দলের সঙ্গী হবেন ‘দ্য ওয়াল’ খ্যাত সাবেক এই তুখোড় ব্যাটসম্যান। কিন্তু শচীন-সৌরভদের মতামত উপেক্ষা করে জহিরকে বাদ দেয়া, শাস্ত্রীর স্বেচ্ছাচারী বক্তব্যে ভেতরে ভেতরে অপমানিত রাহুল। দু’দিন আগে তাকে উদ্দেশে করে শাস্ত্রী বলেন, ‘যদি সারা বছর সময় দিতে পার তবেই এসো।’ প্রকারান্তরে বোঝাতে চান তার ইচ্ছাতেই সবকিছু হচ্ছে, হবে। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই আরও জানিয়েছেন জাহিরের সঙ্গে কিভাবে পরামর্শদাতার চুক্তি হবে তা তারাও বুঝে উঠতে পারছেন না। রাহুল এবং জাহিরের নাম পরামর্শদাতা হিসেবে বেছে ছিল তিন তারকাকে নিয়ে গঠিত ক্রিকেট এ্যাডভাইজরি কমিটি। প্রশ্ন ওঠে, তাদের কথা না শুনে শচীন, সৌরভ বা লক্ষণকে অপমান করা হলো কি না? রাই বলছেন, ‘এ্যাডভাইজরি কমিটিকে বলা হয়েছিল কোচ নির্বাচন করতে। তারা শাস্ত্রীকে বেছে নেয়। কিন্তু তারপর আরও দু’জন পরামর্শদাতাকেও। বোর্ডের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জানতেন না দু’জন পরামর্শদাতাকেও বাছা হচ্ছে। এ্যাডভাইজরি কমিটি যে সহকারী বাছতে গিয়ে তাদের সীমানা লঙ্ঘন করেছে।’ পরিষ্কার করে দেন রাই। তিনি আরও বলেন, এই কারণেই বিভ্রান্ত ছড়ায় এবং বোর্ডের প্রথম প্রেস রিলিজেও বলা হয় রাহুল এবং জাহিরকে নিয়োগ চূড়ান্ত। তবে রাই যেভাবে বলছেন ব্যাপারটা এমন ছিল না। প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া (সাবেক বোর্ড প্রধান) কোচ বাছাইয়ের জন্য শচীন-সৌরভদের নিয়ে কমিটি করে দেন। অনীল কুম্বলের পদত্যাগের পর শাস্ত্রী কিন্তু সৌরভদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন না। অধিনায়ক কোহলির চাওয়া পূরণ করে বোর্ড তাকে বেছে নিতে বাধ্য হয়। এরপর বাদ দেয়া হয় জহিরকে। গ্রেটদের সঙ্গে এমন আচরণে রাহুলের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
×