ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাওসার রহমান

এসডিজি বাস্তবায়নে শুরুতেই পেছনে কেন?

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ২৪ জুলাই ২০১৭

এসডিজি বাস্তবায়নে শুরুতেই পেছনে কেন?

এই তো আগের ম্যাচেই দারুণ জয়ে বেশ উৎফুল্ল ছিল বাংলাদেশ। অনেক বড় বড় দেশ যেখানে মাঠে নেমে নাকানি-চুবানি খেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ পুরো খেলায় দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়ে ঘরে ফিরেছে। আর এবার কিনা মাঠে নেমেই লাল কার্ড। তাও খেলার শুরুতেই। এখনও খেলার পুরো সময় বাকি। তাহলে কি ১০ জন নিয়ে নির্ঘাত পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়বে দেশ! অনেকেই অবাক হচ্ছেন। বাংলাদেশ আবার ফুটবলে কবে জয় পেল। আর এরই মধ্যে কোন খেলাতেই অংশ নিয়ে লাল কার্ড খেয়েছে। বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দল তো জিততেই ভুলে গেছে। ফুটবলে সাফল্য বলতে অনুর্ধ ১৬ মেয়েদের। তারা ইদানীং আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে। এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের এখনও তো অনেক দিন বাকি। সবে মেয়েরা প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ কোরিয়া গেছে। যদিও প্রথম ম্যাচেই তারা আধা ডজন গোল হজম করেছে। এছাড়া আমাদের খেলাধুলায় যে সাফল্য তা তো ক্রিকেটে। একমাত্র ক্রিকেটেই আমরা বিশ্ব পর্যায়ে খেলতে পারছি। কিন্তু ক্রিকেটে তো লাল কার্ডের কোন বিধান নেই। তাহলে বাংলাদেশ লাল কার্ড পেল কিভাবে? আসলে অবাক হবারই কথা। কোন খেলায় বাংলাদেশ লাল কার্ড পায়নি। লাল কার্ড পেয়েছে কিনা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে। কারণ, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে রোল মডেল বাংলাদেশ। অথচ এমডিজি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই বাংলাদেশই কিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে আপাতত বেশ পিছিয়ে-ই আছে। সদ্য প্রকাশিত জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন্স নেটওয়ার্কের এসডিজি সূচক এবং ড্যাশবোর্ডস রিপোর্ট ২০১৭ অনুযায়ী, ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০। সবদিক মিলে বাংলাদেশের স্কোর ৫৬ দশমিক ২। শুধু পাকিস্তান বাদ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, ভুটান এই র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ৫৫ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান আছে বাংলাদেশের পেছনে ১২২ নম্বরে। আর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানের স্কোরও বাংলাদেশের অনেক উপরে। তাদের অবস্থান ১৫০। এমডিজির ৮টি লক্ষ্য দারুণভাবে অর্জন করলেও প্রকাশিত এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১০টিতেই ‘লাল কার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ। যে ১০ টেকসই লক্ষ্যমাত্রায় প্রত্যাশার তুলনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ সেগুলো হলো : এসডিজি-২: খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টির উন্নয়ন ও কৃষির টেকসই উন্নয়ন; এসডিজি-৩: সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা; এসডিজি-৪: মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণ; এসডিজি-৭: সকলের জন্য জ্বালানি বা বিদ্যুত সহজলভ্য করা; এসডিজি-৮: স্থিতিশীল, অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণকালীন উৎপাদনমূলক কর্মসংস্থান ও কাজের পরিবেশ; এসডিজি-৯: স্থিতিশীল শিল্পায়ন এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা; এসডিজি-১১: মানব বসতি ও শহরগুলোকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল রাখা; এসডিজি-১৪: টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করা; এসডিজি-১৬: শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমুলক সমাজ, সকলের জন্য ন্যায়বিচার, সকল স্তরে কার্যকর, জবাবদিহি ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা; এবং এসডিজি-১৭: টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে স্থিতিশীলতা আনা। প্রতিবেদনটিতে এসডিজি পুরোপুরি পূরণ হয়েছে তা প্রকাশ করতে সবুজ রং, মোটামুটি পূরণ হয়েছে তা প্রকাশের জন্য হলুদ রং, আরও কাজ করতে হবে এমন লক্ষ্যমাত্রার জন্য কমলা রং এবং প্রত্যাশার তুলনায় বেশ পিছিয়ে থাকা লক্ষ্যমাত্রার জন্য লাল রং ব্যবহার করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান একটি এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাতেও সবুজ কার্ড পায়নি। জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে সবুজ কার্ড পেয়েছে নেপাল ও ভুটান। বাংলাদেশ কিনা ঢাকা-ঢোল পিটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করে কাজ করছে, আর সেখানে সবুজ কার্ড পেল নেপাল ভুটান। আর দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে আমাদের এত সাফল্যের পরও কিনা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে ভুটান টেকসইভাবে দারিদ্র্য দূর করার জন্য আরেকটি সবুজ কার্ড পেয়েছে। আসলে আমরা অনেক ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নে পরিকল্পনার খুব অভাব থাকে। আবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও থাকে সমন্বয়হীনতা। এখানেও তাই ঘটেছে। এসডিজির লক্ষ্যপূরণে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না থাকা এবং সমন্বয়হীনতার সংস্কৃতির কারণেই ‘লাল কার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ। এমডিজিতে মাত্র ৮টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। সেগুলো বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সময় পেয়েছে ১৫ বছর। তবে বাংলাদেশের সামনে এসডিজি বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই এসেছে। কারণ, এখানেও সময় ১৫ বছর। কিন্তু লক্ষ্য দ্বিগুণেরও বেশি। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই ১৭ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। এসডিজিতে শুধু কাজ করলেই চলবে না কাজটির মান কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে সেটাও গুরুত্ব পাবে। এ কারণেই এসডিজিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বসবাসসহ ১৭টি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মন্ত্রণালয়গুলোতে কতটুকু পরিকল্পনা আছে এবং কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে সেগুলো নিশ্চিত না করলে টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা আরও কঠিন হবে। দেশে প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ছে, কিন্তু প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তরে মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এসডিজি খাদ্যের গুণগত পুষ্টিমান নিশ্চিতের দাবি করে। সরকার ২০১৫ সালে পুষ্টি নীতিমালা করেছে। কয়েক বছর আগে দেশে ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিল (বিএনএনসি) গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই কাউন্সিলের কোন কর্মকা-, সভা-সেমিনার চোখে পড়েনি। খোদ, রাজধানী ঢাকাতেই বসবাসের উপযুক্ত শহর কিংবা টেকসই নগর গড়ার তেমন উদ্যোগ নেই। নিম্ন আয়ের নাগরিকের বাসস্থান, নাগরিক সুবিধা, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিক্ষিপ্ত কিছু উদ্যোগ থাকলেও সমন্বয়হীনতায় সেই উদ্যোগ নগরকে বসবাসের জন্য স্থিতিশীল করতে পারছে না। বিগত ২০০০ সালে শুরু হওয়া ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এমডিজি অর্জনের সময় শেষ হয় ২০১৫ সালে। এরপর জাতিসংঘ ঘোষণা করে ১৫ বছর মেয়াদী ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এসডিজি। এই গোলের আওতায় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০১৬ থেকে ২০৩০ মেয়াদে ১৭টি লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। তবে এই লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উপাত্ত ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন সূচকের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ উপাত্ত বর্তমানে বাংলাদেশের রয়েছে এবং অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ উপাত্ত আংশিকভাবে বিদ্যমান অথবা অনুপস্থিত। বাংলাদেশ এসব তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমানে দেশে কী ধরনের উপাত্ত আছে এবং সূচকের বিপরীতে আরও কী ধরনের উপাত্ত প্রয়োজন তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মোট উপাত্তের ২৯ ভাগ পাওয়া গেছে, ৪৫ ভাগ উপাত্ত আংশিকভাবে বিদ্যমান যেগুলোর সংযোজন এবং পরিমার্জন প্রয়োজন। বাকি ২৬ ভাগ উপাত্ত একেবারেই নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন বর্তমানে ৭০টি সূচকের উপাত্ত বিদ্যমান রয়েছে, ১০৮টি সূচকের উপাত্ত আংশিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৬৩টি সূচকের উপাত্ত একেবারেই নেই। সেক্ষেত্রে এসডিজির ১৭টি বৈশ্বিক অভীষ্টের অধীনে ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি কার্যক্রম ২৩০টি সূচকের মাধ্যমে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব তথ্য দিয়েই সরকার এসডিজি চাহিদা নিরূপণ এবং অর্থায়নের কৌশল, এসডিজি পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়ন কাঠামো প্রণয়ন করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজি লক্ষ্যগুলো একীভূত করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এসডিজির ছয় নম্বর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এটি হচ্ছে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করা। কারণ, জাতিসংঘের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিষয়ক প্যানেলের বিশেষ উপদেষ্টা হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে। এখন শতভাগ মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় এসেছে। উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগের পরিমাণ বর্তমানে ১ শতাংশের নিচে (দশমিক ৮৮) নেমে এসেছে। যা ২০০৩ সালেও ৪২ শতাংশ ছিল। এ বিষয়েও নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যেই দুটি ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য আসবে। এই সময়ের মধ্যেই যাতে এ লক্ষ্য অর্জন করা যায়, সেজন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দৃষ্টি রাখতে হবে। অন্তত এসডিজি-৬ অর্জনেও বাংলাদেশ যাতে বিশ্বব্যাপী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বা ‘রোল মডেল’ হয়ে উঠতে পারে। তবে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। কারণ, প্রাকৃতিক এই দৃশ্যপটের কারণে উপকূলীয় মানুষ বন্যা, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও খরাসহ বিভিন্ন সমস্যার কবলে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশগুলোর অধিক কার্বন নিঃসরণের বোঝা বইছে। কিন্তু বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের সরণীতে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিম্নে। অথচ শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোন ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিরসনে নিজস্ব তহবিলের অর্থ দিয়ে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করলে তাতে যথেষ্ট সমন্বয়হীতা রয়েছে। এছাড়া এই তহবিল ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে এক্ষেত্রে খুব একটা ভাল ফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সবেমাত্র শুরু হয়েছে এসডিজি বাস্তবায়নের সময়। এজন্য হতাশার কিছু নেই। সামনে আরও ১৫ বছর বাকি। কিন্তু শুরুতে সরকারী পর্যায়ে এসডিজি পূরণে পরিকল্পনার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নে আন্তরিকতা ও সমন্বয়হীনতার কারণেই শুরুতে কাক্সিক্ষত সফলতা থেকে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এখন পেছন থেকে দৌড়ে সামনের কাতারে চলে আসতে হবে। কারণ, এসডিজির মূল প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে সকলকে সম্পৃক্ত করে দেশের পশ্চাদপদ অঞ্চলের মানুষদের জীবন জীবিকার উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে এটাই সবার কাম্য। লেখক : সাংবাদিক
×