ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউএনও তারেক সালমানকে হাতকড়া পরানো হয়নি ॥ দাবি পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২৩ জুলাই ২০১৭

ইউএনও তারেক সালমানকে হাতকড়া পরানো হয়নি ॥ দাবি পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক আগৈলঝাড়া ও বর্তমানে বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারেক সালমানকে কোন হাতকড়া পরানো হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন। শনিবার এ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউএনও’র জামিন মঞ্জুর, না-মঞ্জুরের বিষয়টি বিভিন্ন মহল, গণমাধ্যম ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ভিত্তিহীন অভিযোগে কর্মরত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের এবং পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর উদাসীনতার কারণে তাকে যে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। গাজী তারেক সালমানের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন। বিভিন্ন মহল থেকে ‘পুলিশ কিভাবে মামলা নিল? পুলিশ মামলা নিল কেন? পুলিশ তাকে কেন গ্রেফতার করল? এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, এই বিষয়ে কোন থানায়ই কোন মামলা রুজু হয়নি এবং পুলিশও গাজী তারেক সালমানকে গ্রেফতার করেনি। প্রকৃত তথ্য হলো কথিত অবমাননার অভিযোগে অভিযোগকারী বিজ্ঞ আদালতে দ. বি. ৫০১ ধারায় সিআর মামলা নং ৪২৭/১৭ রুজু করেন। সিআর মামলা রুজু করলে আদালত থেকে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। সমনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজী তারেক সালমান আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেন। এক্ষেত্রে কোন পর্যায়েই পুলিশের কোন ভূমিকা রাখার অবকাশ ছিল না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোন কোন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ‘পুলিশ কেন তাকে হাতকড়া পরাল?’ বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গাজী তারেক সালমানকে কোন হাতকড়া পরায়নি পুলিশ। গাজী তারেক সালমানের সঙ্গে পুলিশের ছবি ভালভাবে পর্যালোচনা করলে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে। যেহেতু এ বিষয়ে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওসহ নানা ধরনের দালিলিক প্রমাণ রয়েছে, সেহেতু কোন ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কারও কারও বক্তব্যে পুলিশ রেগুলেশনের ৩৩০ বিধি অমান্যপূর্বক গাজী তারেক সালমানের ওপর বল প্রয়োগ করে টেনে-হিচঁড়ে কোর্ট হাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে, যা তথ্যনির্ভর নয়। এ বিষয়ে পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, পুলিশ এক্ষেত্রে কোনভাবেই বল প্রয়োগ করেনি কিংবা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে দেয়া গাজী তারেক সালমানের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো-‘আমাকে ঠিক গ্রেফতার করা হয়নি, আমার জামিনের আবেদন কোর্টে না মঞ্জুর করা হয়। তারপর আমাকে কোর্টের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। তখন আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আমাকে একটু সময় দিন, আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানোর সুযোগ দিন। আমার অনুরোধে পুলিশ আমাকে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেয়।
×