ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টু ক রো খ ব র

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৩ জুলাই ২০১৭

টু ক রো  খ ব র

আলো ছড়াবে প্যালাডিয়াম মূল্যবান ধাতুর বাজারে চলতি বছর সবচেয়ে ভাল পারফর্মেন্স প্যালাডিয়ামের। অন্য ৩৩টি ধাতুকে ছাড়িয়ে জুনে পণ্যটির দাম ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে। বছরের বাকি সময়ও ধাতুর বাজারে পণ্যটি আলো ছড়াবে বলে রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক জরিপ প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এ ধারা বজায় থাকলে এ বছর পণ্যটির বার্ষিক গড় দাম তিন দশকের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স। সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছর প্রতি আউন্স প্যালাডিয়ামের বার্ষিক গড় দাম হতে পারে ৮১১ ডলার। এর আগে এপ্রিলের জরিপ প্রতিবেদনে পণ্যটির বার্ষিক গড় দাম ৭৭০ ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। নতুন এ পূর্বাভাস অনুযায়ী, পণ্যটির বার্ষিক গড় দাম আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বেড়ে দাঁড়াবে ৫ শতাংশ। নতুন পূর্বাভাসে ২০১৮ সালে পণ্যটির বার্ষিক গড় দাম ৮৪৯ ডলার হতে পারে বলে ধারণা করেছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে ২০১৪ সালে পণ্যটির বার্ষিক গড় দাম ছিল ৭৯৯ ডলার। এটাই সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে পণ্যটির সর্বোচ্চ বার্ষিক গড় দাম। মূলত গ্যাসোলিনচালিত গাড়ি থেকে ক্ষতিকারক কার্বন নির্গমন রুখতে ব্যবহার করা হয় প্যালাডিয়াম। দুই বছর আগে ডিজেলচালিত গাড়ি থেকে ক্ষতিকারক কার্বন নির্গমনের ইস্যুতে সমালোচিত হয় বিশ্বখ্যাত জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগন। এর জের ধরে গ্রাহকরা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনবিশিষ্ট গাড়ি ব্যবহারের প্রতি ঝোঁকেন। ফলে হঠাৎ করেই পণ্যটির চাহিদা বেড়ে যায়। অন্যদিকে ২০১২ সালের পর থেকে প্যালাডিয়ামের সরবরাহ সীমিত রয়েছে। এ কারণে বাজারে পণ্যটির দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বাজার বিশ্লেষক সুকি কুপার জানান, চলতি বছরের পাশাপাশি আগামী কয়েক বছরেও বাজারে পণ্যটির সরবরাহ সীমিত থাকতে পারে। এ সম্ভাবনা থেকেই বছরজুড়ে ধাতুর বাজারে প্যালাডিয়ামের আলো ছড়ানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পাবনায় তিলের আবাদ জনপ্রিয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, পাবনার ৯ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ করা হয়। হেক্টরপ্রতি এক টন করে তিল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। সে হিসেবে উৎপাদন লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছেন জেলার কৃষকরা। জেলায় এবার মোট ১৩ হাজার ৩৪০ টন গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন হয়েছে। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার জানান, এখানকার মাটি তিল আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। জেলায় দিন দিন তিলের আবাদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই শস্যটির উৎপাদনে জমির পরিমাণ বাড়ছে। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকা ও বহুবিধ ব্যবহারের কারণে স্থানীয় কৃষকরা তিল চাষে ঝুঁকছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সবচেয়ে বেশি তিল উৎপাদন হয়েছে পাবনা সদর উপজেলায়। এখানে ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৭৫০ টন তিল উৎপাদন হয়েছে। এর পরই রয়েছে সাঁথিয়া উপজেলার অবস্থান। এখানে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৮৮০ টন তিল। উৎপাদন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেড়া উপজেলা। এখানে ২ হাজার ৩৫৫ টন তিল উৎপাদন হয়েছে। জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করে কৃষকরা ৫০০ টন তিল উৎপাদন করেছেন। এছাড়া আটঘরিয়ায় ৮৫০ টন, চাটমোহরে ৭৬৫ টন, ভাঙ্গুড়ায় ৭১৫ টন, ফরিদপুরে ৭৭৫ টন ও সুজানগরে ৭৫০ টন তিল উৎপাদন হয়েছে। অর্থনীতি ডেস্ক
×