নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ২২ জুলাই ॥ উপজেলার আশুলিয়া নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে ব্র্যাকের মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রগতি, নবীনগর শাখার দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর মোড়ে। ব্র্যাকের মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রগতি, নবীনগর শাখার প্রকল্প সংগঠক আশরাফুল হক জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের শাখা হিসাব কর্মকর্তা জহরুল ইসলামসহ তিনি সারাদিনের কালেকশনের ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা একটি কালো রঙের অফিসিয়াল ব্যাগে ভরে মোটরসাইকেলযোগে রূপালী ব্যাংক, আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুত শাখায় জমা দেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। অফিস থেকে রওনা হয়ে বিকেল পৌনে চারটার দিকে নবীনগর মোড়ের উত্তর পাশে ওভারব্রিজের অনুমানিক একশ গজ উত্তরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত ওয়্যারলেস সেট হাতে ও কোমরে রিভলবার নিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি থামানোর সঙ্কেত দেয়। তারা মোটরসাইকেলটি থামানের সঙ্গে সঙ্গে ৬-৭ জন ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী ব্যক্তি তাদের টাকাভর্তি ব্যাগে ‘ইয়াবা ট্যাবলেট’ আছে বলে চেক করতে চায়। তাদের কাছে থাকা ওই ব্যাগে অনেক টাকা থাকায় তারা ব্যাগ চেক করতে অসম্মতি জানালে ওই ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মোটরইকেলের চাবি নিয়ে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে ওঠায়। এরপর মাইক্রোবাসের ভেতর উঠিয়ে মারধর করে জহরুল ইসলামের কাছে থাকা ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ তাদের দুজনের কাছে থাকা এক হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে শুক্রবার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবির পরিদর্শক এএফএম সাহেদ জানান, ঘটনাটি আদৌ সত্য কি-না তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। তারা যদি এতগুলো টাকা নিয়ে ব্যাংকে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন, তাহলে তারা পুলিশের সাহায্য নেননি কেন- প্রশ্ন তোলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ব্র্যাকের ওই দুই কর্মকর্তাও যে সত্য বলছেন বা ঘটনাস্থলে তারা আদৌ ছিলেন কি-না তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করবে।