ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে দুই গৃহবধূ খুন

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৩ জুলাই ২০১৭

নারায়ণগঞ্জে দুই গৃহবধূ খুন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সোনারগাঁয়ে যৌতুকের টাকার জন্য রাবেয়া আক্তার (২৬) ও ফতুল্লায় পারিবারিক কলহে সাবিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শীতালক্ষ্যা নদীতে যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোনারগাঁয়ে ঘটনার পর থেকে স্বামী তপু (৩৮) পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ এলাকায়। পুলিশ শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ গ্রামের আঃ হক মিয়ার পুত্র তপুর সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে রাবেয়া আক্তারের প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের তানিম (৬) ও তানভীর (২ মাস) নামে দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় গৃহবধূর স্বামী তপুকে ব্যবসা করার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এর দুই বছর যেতে না যেতে আবারও স্বামী তপু তার স্ত্রীকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। বিয়ের পর থেকে এভাবেই প্রতিবছরই যৌতুক দিয়েই রাবেয়ার সংসারটি টিকিয়ে রেখেছিল তার বাবা-মা। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে রাবেয়ার বাবার বাড়ি থেকে আবারও যৌতুক বাবদ দুই লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে তপু। স্থানীয়রা জানায়, সে নিজের বাড়ি না থেকে ভাড়া বাড়িতে থাকে। সম্প্রতি সে চিলারবাগ এলাকার পনিরের বাড়িতে ওঠে। ওই বাড়িতে সে তার স্ত্রীর ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। শুক্রবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ভোরে তাদের বড় ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন রাবেয়ার মৃৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। পরে ঘটনাটি থানায়-পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সদর উপজেলার ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সাবিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী নাছির উদ্দিন। এ সময় বোনকে বাঁচাতে গিয়ে দুলাভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে শ্যালিকা শারমিন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী নাছির উদ্দিনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ১০টায় কড়ইতলা চৌরাবাড়ি এলাকার নূর হোসেনের ভাড়া বাসায়। জানা গেছে, ১২ বছর আগে রাজধানীর রাজারবাগ এলাকার হযরত আলীর ছেলে নাছির উদ্দিনের সঙ্গে ফতুল্লার ভূঁইগড় কড়ইতলা এলাকার বর্তমান বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নাছির উদ্দিন নেশাগ্রস্থ হওয়ায় প্রায় সময় তার স্ত্রীকে মারধর করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় সাবিনার বাবা মেয়ে ও নাতনিদের ভূঁইগড় ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আসে। শনিবার সকালে নাছির উদ্দিন ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং সাবিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এ সময় সাবিনাকে বাঁচাতে তার ছোট বোন শারমিন এগিয়ে এলে নাছির তাকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত দুই বোনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত শারমিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে স্ত্রী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী নাছিরকে আটক করে উত্তমমাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের চিত্তরঞ্জন খেয়াঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ শনিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, চিত্তরঞ্জন খেয়াঘাটের শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা থানা-পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। পটিয়ায় হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা পটিয়া চট্টগ্রাম থেকে জানান, পটিয়ায় এক ব্যক্তিকে (৩৫) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। শনিবার সকালে পটিয়া থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা লাশটি দেখতে সকাল থেকে শত শত মানুষ ভিড় করে। উপজেলার উত্তর হাইদগাঁও গ্রামের (উত্তর বিল) ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মাঝামাঝিতে এ ঘটনা ঘটে। লোকটির পরনে ছিল লুঙ্গি ও একটি শার্ট। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, উপজেলার উত্তর হাইগাঁও গ্রামের ধরপাড়া সড়কটি কেলিশহর ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্ত। সড়কটির মাঝামাঝি (উত্তর বিল) অনন্ত ৩শ’ গজ নির্জন এলাকা। দুবৃর্ত্তরা রাতের আঁধারে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক ব্যক্তির হাত ও পা লুঙ্গি দিয়ে বেঁধে হত্যা করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুুলিয়ে রাখে। রাজশাহীতে কলেজছাত্র স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জনান, নগরীর একটি ছাত্রাবাস থেকে মনিরুল ইসলাম (২২) নামের কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর সোনাদীঘি এলাকার এসএস ছাত্রাবাস থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। মনিরুল ইসলাম রাজশাহী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ বছরের জানুয়ারিতে মনিরুল ইসলাম ছাত্রাবাসটির ৬০৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আমান উল্লাহ জানান, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে বিছানার চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন ওই ছাত্র। রাতে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। শরীয়তপুরে শিশুর গলিত লাশ নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, থেকে জানান, শনিবার সকালে জেলার সখিপুর থানা-পুলিশ দক্ষিণ সখিপুর এলাকার বিলের পাট ও ধান ক্ষেতের মাঝামাঝি স্থান থেকে এক মেয়ে শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে। এ সংবাদ পেয়ে নিহত শিশুর আত্মীয়স্বজন থানায় গিয়ে লাশের পরনের জামা কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করে। নিহতের নাম লিজা আক্তার। সে সখিপুর বাজারসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা লেহাজদ্দিন শেখের কন্যা এবং স্থানীয় সখিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ১ সপ্তাহ আগে বিদ্যালয় থেকে আসার পথে শিশুটি নিখোঁজ হয়।
×