ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে আরও ২২ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র হবে

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৩ জুলাই ২০১৭

দেশে আরও ২২ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী চার বছরে দেশে ২২টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সরকারী ব্যবস্থাপনায় সাতটি, বেসরকারী অর্থায়নে সাতটি এবং সরকারী-বেসরকারী যৌথ ব্যবস্থাপনায় অপর আটটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের মধ্যে এ ২২টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুত চাহিদার ৩০ শতাংশই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান ২০১৬-তে এ লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম এবং এর কাঁচামালও বেশ সহজলভ্য। বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিশেষ সহায়তা করবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র। প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১ সাল এবং ২০৪১ সালে দেশে মোট বিদ্যুতের চাহিদা হবে যথাক্রমে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ৬০ হাজার মেগাওয়াট। এ চাহিদার একটি বড় অংশ কয়লা এবং নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পূরণ করা হবে। সূত্রমতে, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে চীন এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (এনার্জি চীন) এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে কক্সবাজারে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।
×