রহমান শোয়েব, চবি ॥ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি আধুনিকায়ন করা হচ্ছে চলতি বছরেই। এর ফলে পূর্বের মতো আর পরীক্ষার পর বিষয় পছন্দের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ে এসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে না। ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন এবার করতে হবে অনলাইনে। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অনলাইনেই পছন্দের বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন। সে অনুযায়ী মেধাক্রম অনুসারে তাদের বিষয় বরাদ্দ দেয়া হবে।
চবির ভর্তি পরীক্ষা আধুনিকায়নের এমন সিদ্ধান্তে পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলেও মনে করছেন তারা। তাই প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল মহল।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অনলাইনে আবেদনের সময়ই ভর্তিচ্ছুকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ছবি দিয়ে আবেদন করতে হবে। কিন্তু পূর্বে আবেদনের পরও ছবি পরিবর্তনের সুযোগ ছিল। এবার সে সুযোগ না থাকায় জালিয়াতির সুযোগ আর থাকছে না। আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য ও ছবি পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে থাকবে। এছাড়াও সিট প্ল্যানের সঙ্গে ছবি থাকবে। এতে জালিয়াতি রোধ হবে সহজেই।
এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী বিষয় নির্বাচনের সময়ও পূর্বে নানা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। এমনকি বিষয় নির্বাচন করতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ভর্তিচ্ছুকে অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে গত বছর। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেধাতালিকায় পেছনে থাকাদের ভর্তি নিশ্চিত করতে এমন অপকর্ম করত। তবে এখন অনলাইনে বিষয় পছন্দের সুযোগ থাকায় কপাল পুড়বে জালিয়াত চক্রের। আর মেধা তালিকার ক্রম অনুযায়ী অনলাইনেই ভর্তিচ্ছুদের বিষয় বরাদ্দ দেয়া হবে। ফলে বিষয় পছন্দ করতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে না। এতে ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ কমবে। সাশ্রয় হবে অর্থ ও শ্রম।
প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন চবি শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ‘প্রশাসনের এমন উদ্যোগের ফলে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষায় যদি কোন নম্বরের ব্যাপার থাকত তবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই মৌখিক পরীক্ষা তুলে দিয়ে অনলাইনে বিষয় নির্বাচন ও বরাদ্দের সুযোগ থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’ এ বিষয়ে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদা বলেন, ‘একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করার পর অনলাইনেই পছন্দের ক্রম অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করবেন।
এরপর অনলাইনেই তাকে বিষয় বরাদ্দ দেয়া হবে মেধাক্রম অনুযায়ী। এবং কেউ যদি পরে ভর্তি না হন তবে অনলাইনেই পুনরায় মেধা অনুযায়ী বিষয় বরাদ্দ দেয়া হবে। চবি রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত যে চিন্তা তা হল ৪ টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া।
আমরা সেভাবেই কাজ করছি। এর মধ্যে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স এবং একটি কম্বাইন্ড পরীক্ষা হবে।’ চবিতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: