ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোল্লাহাটে কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২২ জুলাই ২০১৭

মোল্লাহাটে কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোল্লাহাটে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও অসহায় দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য চালু করা ৪০ দিনের কর্মসূচীতে কাজ করা অসহায় দরিদ্র শ্রমিকদের কাছে তাদের প্রাপ্য অর্থের ৫ ভাগ দাবি করে টাকা নেয়া অভিযোগ উঠেছে রূপালী ব্যাংক মোল্লাহাট শাখার ম্যানেজারসহ এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার ও ওই ব্যাংক কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গত ১৫ জুন মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফিরোজ আহম্মেদ লিখিত অভিযোগ করেছেন রূপালী ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক বরাবর। অভিযোগে জানা যায়, গত ১১ জুন রূপালী ব্যাংক মোল্লাহাট শাখার ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করে ইউপি সদস্য শেখ ফিরোজ আহম্মেদ শ্রমিকদের কাজের মজুরির ৩ লাখ ৩৭ হাজার ২০০ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল কাফি মেম্বার ফিরোজ আহম্মেদকে ব্যাংকের অপর কর্মকর্তা ফিরোজের কাছে পাঠায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ মেম্বারকে ক্যাশিয়ারের কাছে পাঠালে ক্যাশিয়ার জানান প্রয়োজনীয় টাকা আছে বিল দেয়া যাবে তবে ম্যানেজার স্যার বল্লে। মেম্বার ফিরোজ তখন ব্যাংক ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল কাফির কাছে আবার গেলে তাকে বলেন অপেক্ষা করেন ক্যাশ কিছু কম আছে জমা হলে দিয়ে দেব। এ সময় ইউপি সদস্য ফিরোজ বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর আবার ম্যানেজারের কাছে গেলে ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল কাফি ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ তার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে ব্যাংকের সহকারী অফিসার মোল্লাহাট উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা তাকে ঘটনাটি জানালে তিনিও ব্যাংক ম্যানেজারকে অসহায় গরিব দিনমজুরদের টাকা না নেয়ার অনুরোধ করেন। তখন ইউপি সদস্যের সামনেই ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ অপর কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকে এ বিষয়ে নাগ গলাতে নিষেধ করেন এবং বলেন বিষয়টি এখানে সীমাবদ্ধ না থাকলে তুমি এ ব্যাংকে থাকতে পারবা না। তখন ইউপি সদস্য নিরুপায় হয়ে সেই ১৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে এক মাস পার হলেও মেলেনি কোন সাড়া। এছাড়া একই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একই শাখায় ওই ম্যানেজারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোর করে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বরাবরে অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি ভুক্তভোগীরা। উল্টো তাদের নানা হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল কাফি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি কুচক্রমহল আমার সুনাম ক্ষুণœ করতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংক লি: খুলনা শাখার জিএম শেখ আবুল হোসেন বলেন, আমাদের জোনাল হেড কাজী আব্দুর রহমান ইতোমধ্যে মোল্লাহাট শাখার ম্যানেজারসহ কয়েকজনকে অন্যত্র বদলি করেছেন। রূপালী ব্যাংক লিঃ বাংলাদেশের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মজিদ বলেন, বাগেরহাটের একজন ইউপি সদস্যের অভিযোগ আমরা পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাংকের নিয়ম বিধি অনুযায়ী কেউ দোষী হলে ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে।
×