ইজিয়ান সাগরের কাছে গ্রীস ও তুরস্কের উপকূল বরাবর শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার ভোরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে বলে গ্রীক ও তুর্কী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। ভূমিকম্পে গ্রীসের কোস দ্বীপের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপটি পর্যটকেদের বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারীদের কাছে অবসর কাটানোর স্থান হিসেবে বেশ প্রিয়। এখানেই দুই ব্যক্তি নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে মেয়র জর্জ কিরিতসিস জানিয়েছেন। অন্য কয়েকটি সূত্র আহতের সংখ্যা ৩০ এবং তাদের মধ্যে দুই পর্যটকও আছেন বলে জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
পুলিশ দ্বীপের একটি বারের ছাদ ধসে পড়ার খবর দিয়েছে। ক্যাফে ও বারসমৃদ্ধ কোস বন্দরেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কোস্ট গার্ডের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। স্থানীয় কোসটুডে ডটকম ওয়েবসাইটে দেয়া ছবিতে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রে পানি ঢোকার চিত্র দেখা গেছে; পানির তোড়ে ছোট একটি মাছ ধরার নৌকা রাস্তায় উঠে আসে। ইজিয়ান সাগরে অবস্থিত তুরস্কের বদরুম অঞ্চলে ভূমিকম্পের পর প্রায় ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; কম্পনের পর হুড়োহুড়ির মধ্যে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভূমিকম্পের পরপরই তুরস্কের জরুরী বিভাগ নাগরিকদের পরাঘাত (আফটার শক) সম্পর্কে সতর্ক করে। সেখানে ভবন ধস বা হতাহতের বড় কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
টেলিভিশনের এক ফুটেজে কম্পনের সময় স্থির থাকা গাড়িগুলোকে নড়তে এবং দোকানের তাক থেকে জিনিসপত্র পড়ার দৃশ্য এবং ভূমিকম্পের পর মুগলা প্রদেশে ভবনগুলোর নিচে হাজার হাজার লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে মেয়র ওসমান গুরুন জানিয়েছেন। ইউরোপের ভূমিকম্প বিষয়ক সংস্থা ইএমএসসি অল্প মাত্রার সুনামি হতে পারে এমন আশঙ্কা করলেও কর্মকর্কাদের বরাত দিয়ে তুর্কী গণমাধ্যমগুলো সাগরতীরে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা জানিয়েছে।
