ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ডিক্রি জারি

সন্ত্রাস দমন আইনে পরিবর্তন আনছে কাতার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২২ জুলাই ২০১৭

সন্ত্রাস দমন আইনে পরিবর্তন আনছে কাতার

জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগে উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সন্ত্রাসদমন আইনের পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে কাতার। এ বিতর্কিত ইস্যুটিই সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের মূল ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে। দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দুটি তালিকা তৈরির নির্দেশ জারি করেছেন। এছাড়া এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম কেন সন্ত্রাসের তালিকায় আসবে, সেই কারণও বিস্তারিত উল্লেখের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসী অপরাধ, সন্ত্রাসী স্থাপনা ও সন্ত্রাসের অর্থায়নের সংজ্ঞা থাকবে নতুন আইনটিতে। সন্ত্রাসের তহবিল সরবরাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-কাতারের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সইয়ের প্রেক্ষাপটে দেশটির আমির এ ডিক্রী জারি করেন। গত পাঁচ জুন সন্ত্রাসের অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের উপসাগরীয় প্রতিবেশী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর দেশটির ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারা দোহার সঙ্গে সব স্থল সীমান্ত বন্ধ, তাদের আকাশে কাতারী বিমানের প্রবেশ নিষিদ্ধ ও কাতারী নাগরিকদের তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেয়। আর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহ্যারের জন্য তারা কাতারকে তেরোটি শর্ত দেয়। যদিও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগে দোহা সে সব শর্ত মানতে অস্বীকার জানায়। কাতার জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই ও প্রতিবেশীদের সব দাবি অবাস্তব, মেনে চলা অসম্ভব। ‘তালগোল পাকিয়েছে সৌদি জোট’ কাতারের এক সরকারী কর্মকর্তা বুধবার অভিযোগ করে বলেছেন, আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা চার আরব দেশ অবিশ্বাস্য আচরণ করে যাচ্ছে। একেক সময় একেক দাবি তুলে সবকিছুতে তারা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন বলেছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে কাতারকে ছয়টি মূলনীতি মেনে চলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনার জন্য আলোচনায় বসতে হবে।
×