ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি

রিলায়েন্স গ্রুপ পাঁচ বিষয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি চাইছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২২ জুলাই ২০১৭

রিলায়েন্স গ্রুপ পাঁচ বিষয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি চাইছে

রশিদ মামুন ॥ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে প্রাথমিক চুক্তি করতে চাইছে ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স গ্রুপ। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিদ্যুত বিভাগকে এ বিষয়ে অনুরোধ করে সম্প্রতি চিঠি দেয়া হয়েছে। রিলায়েন্স ঢাকার অদূরে মেঘনাঘাটে একটি ৭৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্রের সঙ্গে কুতুবদিয়ায় একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করছে। বিদ্যুত-জ্বালানি সরবরাহ বিশেষ আইনে রিলায়েন্সকে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ২৪ মে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদ্যুত বিভাগের প্রস্তাব অনুমোদন করে। কেন্দ্রটি সরকারের কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত বিক্রি করবে ৭ দশমিক ৩১২৩ সেন্টে, দেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫ দশমিক ৮৪৯৮ টাকা। এ প্রকল্পে ২২ বছরে মোট খরচ হবে ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিলায়েন্স পাওয়ার এখানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য দুই দশমিক ৫ সেন্ট ক্যাপাসিটি চার্জ পাবে। দেশের গ্যাসচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রকে পিডিবি ইউনিটিপ্রতি এক দশমিক ৫২ সেন্ট ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে থাকে। রিলায়েন্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সমীর কুমার গুপ্তা বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে লেখা একটি চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছেন, কাজ শুরুর অনুমোদনপত্র প্রদানের পাশাপাশি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমির লিজের প্রাথমিক চুক্তি, মেঘনাঘাটে গ্যাস সরবরাহে নিশ্চয়তা চাইছে তারা। এছাড়া মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল ব্যবহার এবং নির্মাণ প্রাথমিক চুক্তি। এর মধ্যে জমি লিজ চুক্তি হবে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে। গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে হবে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে। আর এলএনজি টার্মিনাল বিষয়ে চুক্তি হবে পেট্রোবাংলার সঙ্গে। চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগে কিছু ধাপ রয়েছে। চিঠিতে রিলায়েন্স ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুরোধ করেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যেন নির্দেশনা দেয় বিদ্যুত বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়েছে, মেঘনাঘাট বিদ্যুত কেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনালের বিষয়ে তারা ইতোমধ্যে অর্থের নিশ্চয়তা পেয়েছেন। এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিড ডোনার হিসেবে থাকবে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির বেশিরভাগ কারিগরি সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন বিদ্যুত কেন্দ্রটির নির্মাণ ঠিকাদার নির্বাচন করা হচ্ছে। অন্যদিকে এলএনজি টার্মিনাল সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের মধ্যেই টার্মিনালটির কার্যক্রম শুরু করতে চায় তারা। এজন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। টার্মিনাল নির্মাণের সমীক্ষার পাশাপাশি নক্সা প্রণয়ন করা হয়েছে। রিলায়েন্স কুতুবদিয়ায় টার্মিনাল নির্মাণ করে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করবে। এ গ্যাসের মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য দৈনিক ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি প্রয়োজন হবে। বাকি গ্যাস আন্তর্জাতিক বাজারদরে তাদের কাছ থেকে কিনে নেবে পেট্রোবাংলা। তবে মেঘনাঘাটের বিদ্যুত কেন্দ্রটিতে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে।
×