ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৯ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২২ জুলাই ২০১৭

ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর  বাঁধ ভেঙ্গে ৯ গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী, ২১ জুলাই ॥ অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ী পানির তোড়ে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধের ৫টি স্থান ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফুলগাজী উপজেলার ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি শুক্রবার দুপুর ১২টায় মুহুরী নদীর পরশুরাম পয়েন্টে বিপদসীমার ২ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধভাঙ্গা পানিতে ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে। এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোডের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ উর রহমান জানান, উজান থেকে পানি আসা অব্যাহত রয়েছে। বাঁধের আরও ৩-৪টি স্থানে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। পানির বেগ বাড়লে এ স্থানগুলোতেও ফাটল দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফেনী পৌর এলাকার একাডেমি সড়ক, পাছগছিয়া সড়ক, শান্তি রোডসহ বিভিন্ন এরাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পৌরবাসীর ভোগান্তি চরমে উঠেছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীকে এক হাটু পানি পাড়ি দিয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিনের টানা বর্ষণে পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনভোগান্তি চরমভাবে বেড়েছে। সদর উপজেলা, রামগতি ও কমলনগরসহ পাঁচ উপজেলায় আমন বীজতলা এবং শরৎকালীন শাকসবজির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, জেলায় এ বছর সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে পানির নিচে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে, ৪৫০ হেক্টর। শরৎকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৪৭০ হেক্টর। টানা বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১২০ হেক্টর সবজির। একই সঙ্গে অন্যান্য সবজি পেপে, কলাসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে উজান থেকে নেমে আসা প্রচ- পানির চাপে রামগতি দক্ষিণাঞ্চল এবং কমলনরে মেঘনার ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নদীর পাড়ের মানুষ বিশেষ করে রামগতির চরগজারিয়া, চলআলগী, উচখালি, বড়খেরীর আংশিক এলাকা এবং কমলনগরে বিস্তীর্ণ এলাকা মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে।
×