ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুধীন দাশ ॥ অন্য সুরের ভূবনে

প্রকাশিত: ০৭:০১, ২১ জুলাই ২০১৭

সুধীন দাশ ॥ অন্য সুরের ভূবনে

সুধীন দাশ চলে গেলেন ২৭ জুন ২০১৭ মঙ্গলবার রাত ৮.২০ মিনিটে। ৮৭ বছর বয়সে। কুমিল্লা শহরের তালপুকুরপাড়ের বাসিন্দা নিশিকান্ত দাশ আর হেমপ্রভা দাশের ঘর আলো করে ১৯৩০ সালের ৩০ এপ্রিল সুধীন দাশের জন্ম। সুধীন দাশের দশ ভাইবোনের তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তাদের আদি নিবাস ঢাকার বিক্রমপুরে। বাবা কুমিল্লায় স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। আজকের কুমিল্লা ছিল ত্রিপুরা। কৃষক বিদ্রোহের ফলে শামশের গাজীর নেতৃত্বে ১৭৬৪ সালে। ত্রিপুরার মহারাজার শাসন থেকে মুক্ত হয় ত্রিপুরা এবং ১৭৬৫ সালে ত্রিপুরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে চলে যায়। আবার ১৭৯০ সালে ত্রিপুরাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পূর্ণ জেলার মর্যাদা প্রদান করে। সেই থেকে ত্রিপুরা জেলার মর্যাদায় ভূমি ব্যবস্থা রাজস্ব প্রশাসন সবই যথারীতি চালিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু ১৯৬০ সালে ত্রিপুরার নাম পরিবর্তন হয়ে পরিণত হলো কুমিল্লায়। কুমিল্লার ইতিহাস অতি প্রাচীন। ময়নামতি বৌদ্ধ বিহার শিল্প সংস্কৃতি কৃষি সমবায় সব দিক থেকে বিভাগোত্তর এবং বিভাগ পূর্ব কালে ত্রিপুরা কুমিল্লা অগ্রগামী। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাকামী কুমিল্লার মানুষ শরীরচর্চা সঙ্গীতচর্চা, দেশীয় পণ্য দেশীয় ব্যাংক, খদ্দরের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। সুধীন দাশের পরিবার ছিল সঙ্গীত অনুরাগী তঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীতজ্ঞ সুরেন দাশের কাছে সঙ্গীতে আনুষ্ঠানিক দীক্ষা গ্রহণ করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় ১৯৪৮ সালের ৮ মার্চ রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে দুটি গান পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় সুধীন দাশের। তারপর থেকে নিরন্তর সঙ্গীতের পথে হাঁটা। প্রথম জীবনে তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীতকে একান্তভাবে বেছে নিলেও অল্পদিন পরে তিনি নজরুলের গানের বিশাল ভা-ারে অবগাহন করেন। নজরুল সঙ্গীতকে জীবনের ধ্রবতারা হিসেবে বেছে নেন সুধীন দাশ। বিভাগোত্তর ত্রিপুরার সঙ্গীতের প্রবাদপুরুষ শচীন দেব বর্মন রাজপরিবারের সন্তান রাজদ-ের চেয়ে সঙ্গীতকে প্রবলভাবে গ্রহণ করায় এই অঞ্চলের মানুষ সঙ্গীতের দিকে আরও আগ্রহী হয়ে পড়ে। শচীন কর্তা বা শচীন দেব বর্মনের খ্যাতি ত্রিপুরা কুমিল্লা কলকাতা বোম্বে ছাড়িয়ে পৃথিবীর সঙ্গীত পিপাসুুদের কাছে পৌঁছে যায়- সুধীন দাশও তাঁর ভাব শিষ্য ছিলেন। বৃহত্তর কুমিল্লার আর একটি পরিবার শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা বাংলাদেশ কে শুধু নয় এই উপমহাদেশকে বিশ্ব সঙ্গীতের আসরে স্বমহীমায় পরিচয় করিয়ে থেমে থাকেনি-বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁদের বীভায় সমুজ্বল। এই পরিবারের প্রধান পুরুষ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেব শুধু কি সরোদ বাজাতেন-এমন নিমগ্ন শিল্পী কেবল ভারত উপমহাদেশ জন্ম দিতে পারে আর পৃথিবীর শিল্প সৃষ্টির খাতায় নাম লেখাতে পারে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ভুমিষ্ঠ মাটি ও সুধীন দাশের ভুমিষ্ঠ মাটি একই। মায়হারের রাজসভার অহংকার ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ধ্যানকে সুধীন দাশ অনুসরণ করতেন। জীবনযাত্রা এবং সঙ্গীতচর্চার জন্য সুধীন দাশ সঙ্গীতের টিউশনি, গানের স্কুলে শিক্ষক, বাফা, ছায়ানটের শিক্ষক আর বেতার-টিভি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আমাদের দেশের সঙ্গীত চর্চার একটি আবহে শিল্পীরা প্রায় সবাই এমনিভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আবার কেউ কেউ সরকারের প্রচার বিভাগে চাকরিও করতেন। রেডিও টিভির পাশাপাশি সরকারের আর একটি প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান কাউন্সিল পাকিস্তানী ঘারানার সাংস্কৃতিক কর্মকা- পরিচালনা করত সেখানে শিল্পীরা সংশ্লিষ্ট থাকতেন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপতি আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আহার বাসস্থান যোগাযোগ পাশাপাশি শিক্ষা-সংস্কৃতিকে অপরিসীম গুরুত্ব দিয়ে ডক্টর কুদরত-এ- খোদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন এবং ১৯৭৪ সালের অমর একুশেকে সামনে রেখে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে সভ্য-সংস্কৃতিবান জাতির অমর পরিচয়ে ভূষিত করলেন। শিল্পকলা একাডেমি চারুকলা যন্ত্র সঙ্গীত, কণ্ঠ সঙ্গীত নৃত্যকলা বিভাগ দেশে বিদেশে অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে থাকল। দেশের মফস্বল শহর বিশেষ করে উপজেলা পর্যন্ত শিল্প বিকাশের দায়িত্বের পাশাপাশি গবেষণার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিধায় বিদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় দৃঢ় করার জন্য চবৎভড়ৎসরহম শিল্পকলাকে প্রাধান্য দিয়ে ১৯৭৯ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব ও চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ারকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে জাতীয় পারফর্মিং আর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৯ জুন মাসের ভেতর শিল্পী এবং প্রশিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে একাডেমির কার্যক্রম শুরু করে। এই সময় সোহরাব হোসেন এবং সুধীন দাশ প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। সোহরাব হোসেন আমার পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার লোকনাথপুরের মানুষ এবং খ্যাতিমান নজরুল সঙ্গীত শিল্পী এবং শচীন কর্তার গান তাঁর কণ্ঠে বেশ মানাতো বলে নিজে থেকে পরিচিত ছিলাম। সুধীন দাশ সঙ্গীতের প্রথিতযশা শিক্ষক হিসেবে চিনতাম মাত্র। তাঁদের সঙ্গে আমিও প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়ে যখন একাডেমিতে এলাম তখন থেকে ধীরে ধীরে আমার সঙ্গে সখ্য বৃদ্ধিই শুধু নয় পারিবারিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। সোহবার হোসেন সুধীন দাশ অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিলেন- দু’জন দু’জনকে সব সময় খোঁচা দিতে এবং হিউমার করতে পছন্দ করতেন। আমি আজও মিষ্টি পছন্দ করি তাঁরা দু’জনই মিষ্টি পছন্দ করতেন। প্রায় প্রতিদিনই তাঁরা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে আমার চেম্বারে হাজির হতেন। আমরা তিনজন প্রায় প্রতিদিন পেটভরে মিষ্টি খেতাম। বালুসায় মোস্তফা মনোয়ারের পছন্দ। বালুসায় থাকলে তিনিও মিষ্টির এই উৎসবে যোগ দিতেন। বিশেষ করে মিষ্টি খাওয়ার সময় তাঁরা দু’জন শিশুর মতোন আচরণ করতেন। আমরা খুব উপভোগ করতাম। সোহবার হোসেনের সেকেলে ৫০ সিসিঃ হোন্ডার আর সুধীন দাশের ৮০ সিসিঃ হোন্ডার জন্য একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি পার্কিং প্লেস নির্ধারিত ছিল মজা করার জন্য। পারফর্মিং আর্টস একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগে সোহবার হোসেন সুধীন দাশ ছাড়াও খন্দকার ফারুক আহমেদ, খুরশীদ আলম এবং ওমর ফারুক কর্মরত ছিলেন। নৃত্যকলা বিভাগকে সমৃদ্ধ করেছিলেন খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্যগুরু জি.এ. মান্নান। এই বিভাগকে সমৃদ্ধ এবং সম্প্রসারিত করেছিলেন আর এক নৃত্যগুরু এবং খ্যাতিমান পারফরমার কোরিওগ্রাফার আফরোজা বুলবুল যিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী কোরিওগ্রাফার বুলবুল চৌধুরীর সহধর্মিণী যার নামে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি বা বাফা। শিক্ষক হিসেবে ছিলেন জিনাত জাহান, শাহেদা আলতামাস এবং কমিশনড শিল্পী হিসেবে গওহর জামিল, রওশন জামিল রাহেজা খানম ঝুনু এবং আলতামাস আহমদ অংশগ্রহণ করতেন। সেই সময়ের শিক্ষাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠিত নৃত্য শিল্পী এবং কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে অন্যতম জিনাত বরকতুল্লাহ, মিনু হক, শামিম আরা নিপা, দীপা খন্দকার, চায়না চৌধুরী, সুলাতানা হায়দার, হাসান ইমাম, মাইদুল ইসলাম, মঞ্জু চৌধুরী প্রমুখ। যন্ত্রসঙ্গীত বিভাগকে সমৃদ্ধ করেছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং সকল ধরনের বাদ্যযন্ত্রবাদক দেবু ভট্টাচার্য। নৃত্যের পিস মিউজিক এবং নৃত্যনাট্যের মিউজিক সৃষ্টি এবং পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন অতিথি শিল্পী ওস্তাদ খাদেম হোসেন খান। উচ্চতর যন্ত্রসঙ্গীতের শিক্ষাপ্রাপ্ত সুনীল, খোকন শামসু, শামসুর রহমান দেলওয়ার প্রমুখ সুনাম অর্জন করেছেন। পারফর্মিং আর্টের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য শুধু বিলেত থেকে নৃত্যের জন্য আফরোজা বুলবুল নন উত্তর কোরিয়ার একদল প্রশিক্ষক ও একাডেমিতে মঞ্চ, লাইট, সাউন্ড, পপস, কসটিউম ডিজাইন, রূপসজ্জাসহ পারফর্র্মিং শিল্পের আধুনিক এবং ধ্রুপদী বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘কসটিউম’ এ গুরুত্ব অধিক এবং এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সারা আরা মাহমুদ (শহীদ আলতাফ মাহমুদের স্ত্রী)। তিনি বিশ্বমানের কসটিউমের দায়িত্ব পালন করতেন। এই সময় জাতীয় পারফর্মিং আর্টস একাডেমির নির্বাহী পরিচালকের পদে পরিবর্তন আসে-বিশিষ্ট সুরকার সঙ্গীত পরিচালক সঙ্গীতে উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আজাদ রহমান নির্বাহী পরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত হন। একাডেমি তারার মেলা বা মেলার তারায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ১৯৮৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পারফর্মিং আর্ট একাডেমি বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে আত্তীকৃত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুধীন দাশ নজরুলের হারিয়ে যাওয়া গান, বিলুপ্ত প্রায় আধুনিক গান হিসেবে গ্রামোফোন কোম্পানিতে গীত হওয়া গানের আদি রেকর্ড থেকে বাণী ও সুর চয়ন করে নজরুল সঙ্গীতকে বিকৃতি হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এ দেশে যাদের কাছে পুরনো রেকর্ড ছিল তাদের সাহায্য নিয়েছেন। কলকাতার ব্যক্তি এবং রেকর্ড কোম্পানির সহযোগিতায় যে দুরূহ কাজ করেছেন তার জন্য নজরুল সঙ্গীত পিপাসু বা নজরুল গবেষকরাই কৃতজ্ঞ থাকবেন না জাতি হিসেবে আমরাও চিরঋণী তার কাছে। সঙ্গীত নৃত্যের সূক্ষ্ম বিষয়ে কোন প্রশ্ন দেখা দিলে বা ব্যকরণের শুদ্ধতার জন্য সুধীন দাশের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হতো। সবাই সুধীন দাশের নজরুল সঙ্গীতের শুদ্ধতা এবং সঙ্গীতের বৈকারণিক প্রজ্ঞাকে সম্মান করতেন যেমন সোহরাব হোসেনের কণ্ঠে নজরুল গান, কীর্তন, শচীন কর্তার গান সুধা বহন করত- এত মিষ্টি সুর আর শোনা যায় না। সুধীন দাশ নজরুলের স্বরলিপি প্রথমে নজরুল একাডেমির কবি তালিম হোসেন এবং পরে নজরুল ইনস্টিটিউট প্রকাশ করে জাতীয় কবির গানকে বিশুদ্ধতায় উন্নীত করেছেন। সুধীন দাশ লালন গীতির স্বরলিপিও করেছেন। লালন গীতির প্রসার, প্রচার গবেষণা ও প্রকৃত বাণী-সুরের বিকৃতি রোধের জন্য লালনের গানের জীবন্ত কিংবদন্তি খোদাবক্স সাঁইকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অবশ্য চিত্রকলার রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে আমাদের চারুশিল্পকে সমৃদ্ধ করেছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী এসএম সুলতান। কর্মের সুবাদে সুধীন দাশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ হয় খোদাবক্স সাঁইয়ের সঙ্গে যেন মনিকাঞ্চনযোগ। খোদাবক্স সাঁইজির গাওয়া লালনগীতির অবিকৃত বাণী এবং সুরে সুধীন দাশ লালন সঙ্গীতের স্বরলিপি প্রকাশ করেন। সুধীন দাশের পরে আর কেউ এ পথে হাঁটছেন বলে মনে হচ্ছে না। নজরুলের ২৫টি গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সুধীন দাশের একমাত্র ছেলে খ্যাতিমান গিটারবাদক নিলয় দাশ অকাল প্রয়াত। স্ত্রী নীলিমা দাশ নজরুল সঙ্গীত শিল্পী এখনও বিচরণ করছেন আমাদের সঙ্গীত ভুবনে এবং একমাত্র কন্যা মিতু সুপর্ণা রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী।
×