অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা দূর করতে এবার বাকিতে চাল আমদানির সুযোগ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিন মাস বিলম্বে পরিশোধের শর্তে চাল আমদানির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরবরাহকারী তথা রফতানিকারক রাজি হলেই কেবল এ সুযোগ নিতে পারবেন তারা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, চাল, ডাল, মরিচ, লবণ প্রভৃতি পণ্য আমদানির বিপরীতে রফতানিকারকদের নগদে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় আমদানি উৎসাহিত করতে এই শর্তে ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাস বিলম্বে পরিশোধের শর্তে চাল আমদানির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ব্যবসায়ীদের শূন্য মার্জিনে চাল আমদানির সুযোগ দেয়া হয়। অর্থাৎ ন্যূনতম সিকিউরিটি মানি জমা না দিয়েও চাল আমদানির ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়ে গত ১৯ জুন সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঐ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি হাওড় এলাকার বন্যা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চালের স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘœ ঘটেছে, যাতে চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।