ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শরীয়তপুরে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২১ জুলাই ২০১৭

শরীয়তপুরে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২০ জুলাই ॥ জোসনা রানী নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে রুবেল মোল্যাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী। বৃহস্পতিবার রায়টি ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই দুপুর ১টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চরগাজিপুর গ্রামের শাহাজান মোল্যার ছেলে রুবেল মোল্যা প্রতিবেশী নিহতের ছেলে স্বপন চন্দ্রকে হত্যার উদ্দেশে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তার মা জীবন চন্দ্র দেবনাথের স্ত্রী জোসনা রানী দেবনাথকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে । গাইবান্ধায় ৬ জনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদ-াদেশ প্রদান করেন। যাদের বিরুদ্ধে ওই কারাদ-াদেশ প্রদান করা হয় তারা হচ্ছে- মোখলেছুর রহমান, আরিফুল ইসলাম (পলাতক), সিদ্দিক মিয়া, আলমগীর হোসেন, আব্দুল জলিল ও সেকেন্দার আলী। দ-প্রাপ্তদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলার খামার মামুদপুর গ্রামে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পলাশবাড়ি উপজেলার খামার মামুদপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমান সহযোগীরা একই গ্রামের জিল্লুুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জিল্লুর রহমানকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যায়। শেরপুরে বাবার যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর থেকে জানান, শেরপুরে এবার নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় হানিফ উদ্দিন (৪২) নামে এক নরপশু বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন। হানিফ উদ্দিন সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট হদিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে এবং দুই মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জনক। আত্মীয়স্বজনসহ আইনজীবীদের ঘৃণার কারণে ওই মামলায় আসামিপক্ষে কেউ আইনী লড়াই করেননি। আদালত সূত্র জানায়, হানিফ উদ্দিন বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট হদিপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছিল। হানিফ অলস ও জুয়াড়ি প্রকৃতির হওয়ায় অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হতো স্ত্রীকেই। ওই অবস্থায় তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। ভিকটিম (১৪) তাদের বড় মেয়ে এবং সে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে বাড়িতেই থাকত। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর রাতে নিজের বসতঘরে সুযোগমতো পেয়ে নরপশু মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর আরও কয়েক দফায় হানিফ মেয়ের পর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ওই অবস্থায় ধর্ষিতা কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার মাসহ আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে সে পিতার দ্বারা কয়েক মাস যাবত ধর্ষণের তথ্য ফাঁস করে। ওই ঘটনায় একই বছরের ২০ অক্টোবর ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে নরপশু পিতা হানিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
×