ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষকের বলাৎকার, ভোলায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২১ জুলাই ২০১৭

শিক্ষকের বলাৎকার, ভোলায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২০ জুলাই ॥ ভোলার চরফ্যাশনের বলাৎকারের ঘটনা নাটক বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী নাজমা বেগম। তার স্বামীর প্রধান শিক্ষকের পদ ছিনিয়ে নিতে এক ছাত্রকে দিয়ে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক বলাৎকারের নাটক সাজিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বলাৎকার হওয়া ছাত্রের পিতা ঘটনার দ্রুত বিচার ও আসামি গ্রেফতারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লারে এবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী নাজমা বেগম লিখিতভাবে এসব অভিযোগ করেছেন।লিখিত অভিযোগে নাজমা বেগম বলেন, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার স্বামী মুসফিকিউর রহমান ১৯৮৫ সাল থেকে সুনামের সঙ্গে চরফ্যাশন উপজেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজী বিষয়ের দক্ষ শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে আসছেন। শিক্ষকতায় তার কোন বদনাম নেই। ২০০৫ সালে আসলামপুর আজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পর থেকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন চক্রান্ত করে আসছেন। বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রে ফেলে হয়রানি করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক মুসফিকিউর রহমানের অবসরে যাওয়ার এক বছর আগেই চক্রান্ত শুরু করেছে। তাই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ তুলে মামলা করিয়েছেন। প্রধান শিক্ষককে বলছেন, পদ ছেড়ে দিলে মামলা তুলে নেবেন। রাজশাহীতে এ্যাসিড হামলায় দগ্ধ নারী স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হীরা বেগম (৩৬) নামে এক নারীকে এ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া থানার মতিয়াবিল মাজারপাড়া এলাকায় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে হীরা বেগমের শরীরের ডান অংশ ঝলসে গেছে। সুদের টাকা না দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। হামলার শিকার হীরা বেগম ওই এলাকার জমশেদ আলীর স্ত্রী। রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে সুদে কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন হীরা বেগম। যা সুদে ও আসলে মিলে আট লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এ অর্থ পরিশোধ করতে গড়িমসি করে রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যার পরে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে হীরা বেগমের ঝগড়া বেধে যায়। এরই একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী, মা বেবী ও বোন মনোয়ার মিলে হীরা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম এ্যাসিড নিক্ষেপ করে হীরা বেগমের ওপরে। এতে করে তার বুক থেকে শরীরের নিচের ডান অংশ ঝলসে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
×