ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানে রডের বদলে বাঁশ ॥ রাতারাতি পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২১ জুলাই ২০১৭

বান্দরবানে রডের বদলে বাঁশ ॥ রাতারাতি পরিবর্তন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২০ জুলাই ॥ বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজের একাডেমি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সংবাদটি বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদকর্মীরা জানাতে পেরে খোঁজখবর নেয়া শুরু করলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দ্রুত বাঁশের কঞ্চি ফেলে দিয়ে ফের রড ব্যবহার শুরু করেন। জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজের একাডেমি ভবনের তৃতীয়তলার নির্মাণকাজে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৯০ লাখ টাকা। জানা গেছে, সরকারী মহিলা কলেজের একাডেমি ভবনের তৃতীয়তলা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তৃতীয়তলার ড্রপ ওয়ালগুলোতে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করছেন নির্মাণশ্রমিকরা। রাজমিস্ত্রি আলী হোসেন বলেন, ঠিকাদার জানে না, আমরা শ্রমিকরা ড্রপ ওয়ালে রডের পাশাপাশি মাত্র ২টি বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করেছি। এদিকে বান্দরবানের কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজটি করা হচ্ছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। সাব-ঠিকাদার মোঃ আঞ্জু মিয়ার বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না আমি, কাজের মূল ঠিকাদার উজ্জ্বল কান্তি দাশ ও তাপস কান্তি দাশ, তারাই কলেজ ভবনের নির্মাণকাজটি করছেন। আরও জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চলা কাজটির পিলার, ছাদসহ বিভিন্ন অংশে রড ব্যবহার করা হলেও ঠিকাদার জেলার বাইরে অবস্থান করার কারণে নির্মাণশ্রমিকরা ভবনের তৃতীয়তলার ড্রপ ওয়ালগুলোতে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করেন।বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়ুয়া বলেন, এ কাজে আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি, কী ধরনের কাজ হচ্ছে তা বলতে পারব না। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার উজ্জ্বল কান্তি দাশ বলেন, বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানার পর শ্রমিকদের রড ব্যবহারের জন্য বলেছি। এ ব্যাপারে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হবে।
×