কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিরস্ত্রীকরণ কূটনীতিতে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন কূটনীতিকরা। তারা বলেছেন, নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচীর আওতায় দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও বাংলাদেশের ভূমিকা বেশ ইতিবাচক। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচী বিরোধী হেগ কোড অব কন্ডাক্ট বিষয়ে যৌথভাবে এক সেমিনারের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এই সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদ্যুন, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি এ্যাবার্ট ও ঢাকায় নিযুক্ত ডাচ রাষ্ট্রদূত লিওনি কুলেনারা। এতে বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিরস্ত্রীকরণ কূটনীতিতে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচীর আওতায় দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক। বাংলাদেশ নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচী রোধে এনপিটি, সিটিবিটি, সিডব্লিউসি, সিসিডব্লিউ, বিটিডব্লিউসি, এপিএমবিটি ইত্যাদি সংগঠনে ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম কোন দেশ যে জাতিসংঘের পরমাণু বিস্ফোরণ নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে (সিটিবিটি) অনুস্বাক্ষর করেছে। সাংবিধানিকভাবেই বাংলাদেশের পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ লক্ষ্য রয়েছে। একইভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচীর অবস্থানকেও সমর্থন করে আসছে বাংলাদেশ।
ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচী বিরোধী হেগ কোড অব কন্ডাক্ট বিষয়ে সচেতনতার জন্য এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে সমসাময়িক বিশ্বে মিসাইল কর্মসূচী বিষয়ে সেমিনারে আলোচনা করেন বক্তারা। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতামূলক কর্মসূচীর আওতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।