ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোল স্থল ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২০ জুলাই ২০১৭

বেনাপোল স্থল ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেনাপোল স্থলবন্দর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ আগস্ট বন্দর দুটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত অন্যান্য স্থলবন্দরের মাধ্যমে আরও বেশি আমদানি-রফতানির সুযোগ সৃষ্টি সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব তথ্য জানান। বৈঠকে জানানো হয়, বেনাপোল বন্দরে এ ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য কাস্টমস বিভাগের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন, ব্যাংক, বিজিবি এবং ভারতের পেট্রাপোলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কার্যক্রম সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা প্রয়োজন। পেট্রাপোল স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে বেনাপোলসহ মোট ১২টি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে দেশে ২৩ টি স্থলবন্দর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিরল, বাংলাবান্ধা, সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ ও বিবিরবাজার স্থলবন্দর বেসরকারী পোর্ট অপারেটর এবং বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, ভোমরা এবং নাকুগাঁও সরাসরি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি ১২ টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত বেনাপোল বন্দর ব্যতীত ভোমরা, সোনামসজিদ, হিলি, বুড়িমারী বন্দর উল্লেখযোগ্য। এসব বন্দরের অবকাঠামো বেশ উন্নত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক এসব বন্দরে অধিকসংখ্যক পণ্য আমদানি-রফতানির অনুমোদন পাওয়া গেলে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বেনাপোল বন্দরের ওপর চাপ অনেকটা কমে আসবে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সংশ্লিষ্ট বন্দর দিয়ে অধিকতর পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য এগিয়ে আসতে হবে। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্ত্তী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) মোঃ মনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোঃ আব্দুল গাফফার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ নায়েব আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম-পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
×