স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ যথাসময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচন কারও জন্য বসে থাকবে না। কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন ভ-ুল করা যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর কোন বিকল্প নেই। নির্বাচন ভ-ুল করার মধ্যে কোন সফলতা নেই মন্তব্য করে তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, এখনও সময় আছে, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথে হাঁটুন। অন্যথায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি বুধবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বাহুকায় এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দুই দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে বুধবার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা এলাকায় যমুনা নদীর পাড়ে পানি উন্নয়ন বিভাগের ভেঙ্গে যাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুনঃনির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে বাহুকা মসজিদ মাঠে আয়োজিত এ জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রতনকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোক্তাদির বকুল। সমাবেশে রতনকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খোকন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী জগলু বক্তব্য দেন। অন্যদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারাণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু, কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জনসমাবেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম প্রমত্তা যমুনার সঙ্গে যুদ্ধ করে সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বিভাগ ও দলীয় নেতাকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ পুনঃনির্মাণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দ্রুততম সময়ে এই বাঁধ পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ অঞ্চলে পানিসম্পদ মন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী সিরাজগঞ্জ পরিদর্শন করেছেন। বন্যা ও ভাঙ্গনের কবল থেকে এ অঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ করে নাসিম আরও বলেছেন, ইতোমধ্যেই সরকার সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বিভাগের অধিনে এক হাজার কোটি টাকার বিভিন্নমুখী উন্নয়ন কাজ করছেন। আরও সাড়ে চার শ’ কোটি টাকার প্রকল্প চলতি অর্থবছরেই শুরু করা হবে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শিমলা থেকে কাজীপুরের খুদবান্দি পর্যন্ত সাত কিমি. নদী শাসন কাজ করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সিরাজগঞ্জসহ কাজীপুর ভাঙ্গন মুক্ত হবে। বাঁধ পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর ব্রেগিডিয়ার জেনালেল আব্দুর রউফ, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোঃ মনজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম এবং এইচইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
